পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS3 কোন পথে ? আন্দোলন একান্তই হত। কিনা, যদি সীমান্ত প্রদেশে, যুক্ত প্রদেশে বাংলায় বামপন্থীরা সক্রিয় না থাকত। এই সব বামপন্থী কাৰ্যকলাপের উদ্দেশ্য ছিল না। নতুন পার্টি সংগঠিত করা, তার উদ্দেশ্য ছিল পুনরায় আইন অমান্যের জন্য দেশকে প্ৰস্তুত করা । যতদিন পৰ্যন্ত কংগ্রেস মরণ-বঁাচন সংগ্রামের মধ্যে লিপ্ত ছিল এবং মোটের উপর তার নেতৃত্ব ছিল সক্রিয়, ততদিন অভ্যন্তরীণ বিভেদ বৈষম্যাগুলি চাপা ছিল এবং বামপক্ষের পক্ষে সুসংবদ্ধ হওয়া অসম্ভব ছিল। পিছু হঠার প্রথম লক্ষণ স্পষ্ট হবার সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু ভিতর থেকে বিক্ষোভ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠল । ১৯৩২ সালের শেষাশেষি গান্ধিজী তখন জেলে এবং সেখান থেকেই হরিজন আন্দোলন শুরু করলেন। এই আন্দোলন এমন নতুন কোন ঘটনা নয়-আসলে হিন্দুদের মধ্যে অস্পৃশ্যতা দূর করার জন্য যে আন্দোলন ছিল তাকে জোরদার করা বলা জাগিয়ে তোলার জন্যেই এই আন্দোলন । কিন্তু দেশ যখন রাজনৈতিক সংগ্রামের প্রাণাস্তুকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলেছে তখন এই আন্দোলন শুক করে গান্ধিৰ্জী আসল রাজনৈতিক সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে গেলেন । হরিজন আন্দোলন ছিল মূল সাম্প্রদায়িক বঁটোয়ারার প্রতিবাদে গান্ধিজীবী যে অনশন করেছিলেন তারই অন্তফল। তার পতিবাদের কারণ ছিল র্বাটোয়ারা অনুন্নাতশ্রেণী ও তপশীল জাতিগুলিকে মূল হিন্দু সমাজ থেকে পৃথকভাবে গণ্য। করেছিল। এই অনশনের ফলে সাধারণের মন আইন অমান্য আন্দোলন থেকে অন্যত্র নিবিষ্ট হয় এবং স্বভাবত সেই আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে। অনশন ও তার অন্তফল হরিজন আন্দোলন থেকে বিচক্ষণ রাজনৈতিক পৰ্যবেক্ষকরা সন্দেহ পোষণ করেন যে, গান্ধিজী নিজের কাছেই হার মানতে শুরু করেছেন এবং এমন একটা নতুন পথের হদিস খুজছেন যা হরিজন আন্দোলনের মত অপ্রধান কোন ব্যাপারের মাধ্যমে জনসাধারনের উপর আঁর্তায় প্রভাব বজায় রাখতে সক্ষম হবে। তঁরা খুব ভুল করেননি। ১৯৫৩ সালের মে মাসে মহাত্মা গান্ধী