পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফরওয়ার্ড ব্লকের পটভূমি SyʻA আমি ‘দি ইণ্ডিয়ান স্ট্রাগােল ১৯২০-৩৪” বইটি ১৯৩৪-এর নভেম্বরে লেখা শেষ করি এবং বইটি লণ্ডন থেকে প্ৰকাশিত হয়। সেই বইয়ে আমি পার্টিকে আন্তরিক সমর্থন জানিয়েছিলাম। ১৯৩৮-এর ফেব্রুয়ারিতে হরিপুরা কংগ্রেসের সভাপতির অভিভাষণেও আমি আরো জোরের সঙ্গে এই মনোভাব ব্যক্ত করি । বিশ্লেষণ করে দেখলে আমরা দেখতে পাই যে কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি বাস্তবিকপক্ষে দেশকে নতুন কিছু দেয়নি। ১৯২৮ সাল থেকে পণ্ডিত জওহরলাল, লেখক এবং তঁদের মত আরো অনেক বামপন্থী এই রকম সমাজবাদের কথা আগে থেকেই বলে আসছেন । অন্যান্য গোষ্ঠী ও দলের ভিতর দিয়ে এই বামপন্থার সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দিকটা ভারতীয় রাজনীতিতে অনেক আগে থেকেই প্রকট হয়েছে। এতৎ সত্ত্বেও সি. এস. পি অত্যন্ত প্ৰয়োজনীয় এক উদ্দেশ্য সাধন করেছিল । তা সমস্ত বামপন্থীদের সংহত হবার জন্য ডাক দিয়েছিল, এবং তার উদ্ভব হয়েছিল ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে এক শুভমুহুর্তে { ঘটনার সন্নিবেশ এমন সম্ভাবনাপুর্ণ ছিল যে মনে হয়েছিল যে-ক্ষেত্রে অপরের আগে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে এই পাটি তার ব্ৰত উদযাপনে সফল হবে। কতদিন আগে, ১৯২৮ সালে, আমি বুঝতে পারি দক্ষিণপন্থী সাংগঠনিক কংগ্রেস পার্টি দিনে দিনে বিপদের কারণ হয়ে উঠৰে এবং একটা বামপন্থী পার্টি গঠন করা জরুরী প্রয়োজন । কিছুটা জেনে কিছুটা না জেনেই আমি অপর অনেকের সঙ্গে সেই লক্ষ্যে পৌছতে কাজ করে গিয়েছি কিন্তু সার্থক হইনি। ১৯৩৪ সালে কংগ্রেস সোশ্যালিস্টদের প্রয়াসে আরও আশাপ্ৰদ লক্ষণ দেখে স্বভাবত তা সোৎসাহ অভিনন্দনের যোগ্য বলেই মনে হয়েছিল । ১৯৩২-এর জানুয়ারি থেকে ১৯৩৭-এর মার্চ অবধি আমাকে হয় জেলে, না হয় নির্বাসনে কাটাতে হয়েছিল। ১৯৩৭ সালে আমি যখন আবার জনসেবায় আত্মনিয়োগ করার মত স্বাধীনতা লাভ করি, তখন কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি বেশ কিছুটা পরিণতি লাভ• করেছে। ১৯৩৭ এবং ১৯৩৮-এ নিজ চোখে দেখে মনে হয়েছে,