পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফরওয়ার্ড ব্লকের পটভূমি 皮&Y সমাজতান্ত্রিক নয়, তা হবে। আপসহীন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী। সি. এস. পি. নেতাদের অনেকের মধ্যেই এই ভুল ধারণা আছে যে, পার্টির কাজ হচ্ছে কেবলমাত্র সমাজতান্ত্রিক প্রচার চালিয়ে যাওয়া এবং সেই সঙ্গে কংগ্রেস সংগঠনকে চাঙ্গা করে তোলা । অন্যতম প্রধান কারণ এই, যার জন্য পার্টির ভরাডুবি হয়েছে। গান্ধীবাদে যাদের অন্ধ বিশ্বাস নেই তাদের কর্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট । ভাদের কর্তব্য যথার্থ একটি বামপন্থী পার্টি গড়ে তোলা, তাতে আধুনিক রাজনৈতিক পাটির বিস্তারিত সব বিধিব্যবস্থা থাকবে। এ বিষয়ে নিঃসন্দিগ্ধ হতে হবে যে, যে মুহুর্তে এই প্ৰয়াস করা হবে তখনই কংগ্রেস হাই কমাণ্ডের অ্যাক্রোশ নেমে আসবে। এর চেয়েও বড় কথা, সদ্যজাত এই পাটিকে পিষে মারার জন্য সব রকম নীচ, নির্লজ, হিংসাত্মক পদ্ধতি গ্ৰহণ করা হবে । গত আঠারো মাসের ঘটনাবলী থেকে বোঝা যায় গণ্যমান্য অনেক বামপন্থী নেতা। দক্ষিণপন্থীদের এই ধরণের আক্ৰমণ আনন্দাজ করতে পারেননি। এই ভুল যেন ভবিষ্যতে আর না হয় এবং অতীতের 'অভিজ্ঞতার শিক্ষায় বর্তমানে সবাই যেন আরও বিজ্ঞ হয়ে ওঠে । পাঠকদের স্মরণে থাকতে পারে, সি. এস. পি.র সদস্যদের সঙ্গে প্ৰাথমিক পৰ্যায়েই কংগ্রেস হাই কমাণ্ডের (অথবা গান্ধীবাদী নেতৃত্বের) সংঘর্ষ বাধে । কংগ্রেস সোশ্যালিস্টদের সমর্থন জানাতে গিয়ে পণ্ডিত জওহরলালকেও নাজেহাল হতে হয়েছিল । ১৯৩৬, ১৯৩৭ সালে যখন তিনি কংগ্রেস প্রেসিডেণ্ট তার অবস্থা মোটেই সুখকর ছিল না। এবং গান্ধীবাদীদের সঙ্গে তঁর সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করবার জন্য সি. এস. পি.র প্রতি র্তার সমর্থনের মাত্রােটা তাকে বেশ কমিয়ে আনতে হয়। কংগ্রেস সোশ্যালিস্টদের দিক থেকেও, যখন তার হাই কমাণ্ডের আক্ৰোশ মর্মে মৰ্মে বুঝতে পারল, তারা সাহসের সঙ্গে রুখে তো দাড়ায়ই নি, বরঞ্চ তারা জেনে হোক বা না জেনে হোক এমন জায়গায় সরে যেতে লাগল। যাতে গান্ধী শিবিরের পাণ্ডাদের কাছে তা তত আপত্তিজনক বলে গণ্য না হয় । গান্ধীবাদীরা তা লক্ষ্য