পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७b’ কোন পথে ? আন্দোলনকে যখন স্বেচ্ছায় হত্যা করা হয় তখনই অনশন করার দরকার হচ্ছে । এইরকম অনশনের ফলে জনসাধারণ যে আদর্শ বা আন্দোলনের সঙ্গে একান্তভাবে যুক্ত থাকে, তা থেকে তাদের প্ৰত্যেকের দৃষ্টি অপসৃত হয়ে অনশনকারী ব্যক্তির উপর নিবদ্ধ হয়। আসল প্রশ্নটাকে এইভাবে পাশ কাটিয়ে গেলে দশের স্বাৰ্থ রক্ষা হয় বলে মনে হয় না, যদিও এর ফলে ব্যক্তিবিশেষের জনপ্ৰিয়তা অথবা তার জন্যে দরদও কিছু বৃদ্ধি পেতে পারে। পরিস্থিতি অন্যরকম হত যদি অপরিহার্য অবস্থা সন্নিবেশের চাপে গণআন্দোলনের ধারায় স্বাভাবিকভাবে অনশনের প্রয়োজন দেখা দিত । একবার ভেবে দেখা যাক আজ পৰ্যন্ত মহাত্মাজী অনশন করে কী লাভ করেছেন। নিঃসন্দেহে, দুঃখভোগের মধ্যেই নৈতিক একটা মূল্য আছে--কিন্তু তা বাদ দিলে, তঁার একাধিক অনশনের ফলে তেমন কিছুই লাভ হয়নি যাকে বাস্তব অবস্থার সুরাহা বলা যেতে পারে । পুণা অনশন তপশিলী শ্রেণী-দর জন্য কিছু অধিকার এনে দিয়েছিল বটে। কিন্তু মোটামুটিভাবে সম্প্রদায়িক বণ্টনকে পরোক্ষ ভাবে তিনি মেনে নিয়েছিলেন বলে এবং তপশিলী শ্রেণী সম্পর্কে পৃথক নির্বাচকমণ্ডলা অংশত স্বীকার করে নেবার ফলে সেই অধিকারও প্ৰায় লোপ পেয়েছিল। অতএব অনশন মারফৎ তিনি তেমন কিছুই অর্জন করতে পারেন নি । তা সত্ত্বেও, যতদিন পর্যন্ত অনশন গণআন্দোলনের পরিবর্তে ব্যবহৃত না হয়ে তার সহায় হয়ে ছিল। ততদিন তার বিরোধিতার প্রয়োজন দেখা দেয়নি । এখন গণআন্দোলনের সর্বনাশ সাধন করে তাকে হত্যা করে তার জায়গায় বিকল্পরূপে অনশনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অতএতব, আমরা যারা গণআন্দোলনে বিশ্বাসী, এতে আমাদের নৈতিক সমর্থন থাকতে পারে না। বরঞ্চ আমাদের কর্তব্য হওয়া উচিত সুস্পষ্টভাবে এই অনশনের নিন্দ করা ; তাতে যদি গান্ধীবাদীরা আমাদের গালমন্দ দেয় বা ভুল বোঝে তবুও আমাদের VE SVIS KK | প্রকাশ্যে এই বিষয়ে আমার পক্ষে কিছু বলা সমুচিত হবে না, যদিও