পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার ब्रांखट्रेनडिक S8s এর আগস্টের শেষাশেষি তাদের মুক্তি দেওয়া হয়, এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সাময়িক আটকুের বিধান সমন্বিত ভারত রক্ষা নিয়মাবলীর ১২৯ ধারা অনুযায়ী মূল আদেশের স্থলে ভারত রক্ষা নিয়মাবলীর ১৬ ধূরা অনুযায়ী স্থায়ীভাবে আমাকে আটক রাখার আদেশ জারি করা হল। আশচর্ষের কথা এই যে, ২৬ ধারা অনুযায়ী, আদেশ জারি হবায় সঙ্গে সঙ্গেই খবর এল যে দুজন ম্যাজিস্ট্রেটের সমক্ষে আমার বিরুদ্ধে ভ{ঋতরক্ষা নিয়মাবলীর ৩৮ধারা অনুসারে মামলা রুজু করা হচ্ছে, তার কারণ আমার তিনটি বক্তৃতা এবং ফরওয়ার্ড ব্লক নামে যে সাপ্তাহিক পত্রিকার অামি সম্পাদক সেই পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্ৰবন্ধ । এই বক্তৃতাগুলির মধ্যে দুটি বক্তৃতা দেওয়া হয়েছে ১৯৪০ এর ফেব্রুয়ার্ক্সীতে এবং তৃতীয়টি এপ্ৰিল মাসের গোড়ায়। এইভাবে সরকার গত 'আগস্ট মাসের শেষাশেষি ভারতরক্ষা নিয়মাবলীর এক ধারা অনুযায়ী বিনাবিচারে স্থায়ীভাবে আমাকে আটক করেন এবং একই সঙ্গে ওই নিয়মবলীর আরেক ধারা অনুযায়ী বিচারবিভাগীয় ট্রাইবুন্যালের সমক্ষে অভিযুক্ত করে অভিনব ও অভূতপূর্ব এক অবস্থা সৃষ্টি করলেন । এই ঘটনা ঘটবার আগে আমি শাসনবিভাগীয় হুকুম এবং বিচারবিভাগীয় পদ্ধতির এইরকম সংমিশ্রণ কখনও দেখিনি। এইপ্ৰকার নীতি স্পষ্টতঃ বে আইনী ও অন্যায় এবং স্পষ্ট ও প্রাঞ্জলভাবে প্ৰতিহিংসামূলক । তথাকথিত অপরাধ অনুষ্ঠিত হবার অনেক পরে যে মামলা রুজু করা হয়েছে তা কারও নজরে না পড়ে পারে না । তাছাড়া ফরওয়ার্ড ব্লক-এর প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধের জন্য পত্রিকাটির ৫০০ টাকা জামানত বাজেয়াপ্ত করে এবং আরও ১০ ০০ টাকা জামানত তার কাছ থেকে আদায় করে পত্রিকাটিকে যে দণ্ডিত করা হয়েছে, তাও অগ্রাহ্যু করা যায় না। উপরন্থ, পত্রিকাটিকে আক্রমণ করা হয় আকস্মিকভাবে, দীর্ঘকাল পরে, এবং এই সময়ের মধ্যে সরকারের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী পত্রিকাটিকে একবারও সতর্ক করে দেওয়া হয়নি। বাংলা সরকারের মনোভাব আরও প্রকট হয়ে ওঠে যখন দুজন বিচারক-ম্যাজিস্ট্রেটের সমক্ষে জামিনে আমার মুক্তির জন্য আবেদন