পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

आमाब्र ब्राख्दैनडिक अँडैठि 丸位S করে দেখতে অনুরোধ করি। ভারতরক্ষণ নিয়মাবলীতে বন্দী মুসলমানদের মধ্যে আজ পৰ্যন্ত কতজনকে কোন কারণ বা কৈফিয়ত না দেখিয়ে অপ্ৰত্যাশিতভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তার কি হিসেব নেবেন ? মুড়াপাড়ার মৌলবীর দৃষ্টান্ত একেবারে সাম্প্রতিক, সাধারণের মনে তা এত স্পষ্ট হয়ে জেগে আছে যে তার পুনরাবৃত্ত্বি নিম্প্রয়োজন। আমাদের কি এই বুঝতে হবে যে, আপনাদের শাসনে মুসলমানদের জন্য এক আইন এবং হিন্দুদের জন্য আরেক আইন, এবং মুসলমান যখন জড়িত হয়ে পড়ে তখন ভারতরক্ষা নিয়মাবলীর অর্থ হয় ভিন্ন রকম ? তাই যদি হয়, সরকার সেই মর্মে একটি ঘোষণা করে জানিয়ে দিলে তো পারেন । স্থানীয় সরকার নয়, ভারত সরকার আমাকে বন্দী রাখার জন্য দায়ী, পাছে এই যুক্তি দেখানো হয় বা এইরকম ইঙ্গিত করা হয়, তাই আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে, এই সেদিন ভারতীয় আইনসভায় পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্র আমার সম্পর্কে যে মুলতবী প্ৰস্তাব আনেন। তায় উত্তরে ভারত সরকারের তরফে বলা হয় কেন্দ্রীয় আইনসভায় বিষয়টি উত্থাপন করা উচিত হবে না, যেহেতু বাংলা সরকার। আমাকে বন্দী করে রেখেছেন । আমার বিশ্বাস মন্ত্রিমণ্ডলীর তরফ থেকে বঙ্গীয় আইন সভাতেও অনুকল্প স্বীকৃতি করা হয়েছে । এবং আমরা ভুলে যেতে পারি না, এখানে এই বাংলাদেশে আমরা "জনপ্ৰিয়” মন্ত্রিমণ্ডলীর কল্যাণকর ছত্ৰছায়ায় বাস করছি । ভারতীয় আইনসভায় আমার সাম্প্রতিক নির্বাচনে আরেকটি প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে-আইনসভার অধিবেশন চলাকালে আইনসভার সদস্যদের কারাবাস থেকে “বিমুক্ত" থাকার প্রশ্ন। স্পষ্টভাবে, বিধিবদ্ধ থাক বা নাই থাক প্রত্যেক শাসনতন্ত্রে এই অধিকার মজ্জাগত এবং দীর্ঘকালব্যাপী সংগ্রামের পর এই অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। খুব সম্প্রতি বৰ্মা সরকার একজন দণ্ডিত বন্দীকে বর্ম। আইনসভার অধিবেশনে যোগদানের অনুমতি দেন ; কিন্তু আমি যদিও দণ্ডিত বন্দী নই, আমাদের “জনপ্ৰিয়” মন্ত্রিমণ্ডলী আমাকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন ।