পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা কংগ্রেসের জন্ট বাংলা কংগ্ৰেসেব ঘটনাবলীর উপরে নেতাজী ১৯৪০-এর ১০ই ডিসেম্বর থেকে ২৪শে ডিসেম্ববের মধ্যে একাধিক বিবৃতি প্ৰকাশ করেন। কংগ্ৰেসেব সর্বভারতীয় সংসদীয় সাবকমিটিব নামে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বঙ্গীয় কংগ্রেস সংসদীয় পাটিব নেতা শ্ৰীশরৎচন্দ্ৰ বসুর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ * করেন। ভাব ফলে বিধান সভার কংগ্রেসী দলে ঠিক সেই সময়ে নতুন এক সঙ্কট দেখা দেয়। এই বিবৃতিগুলি একত্ৰিত কিবা হয়েছে এবং বাদবিসম্বাদেব খুটিনাটি বিষয়গুলি বাদ দিয়ে এই সম্পর্কে নেতাজীব মতামতসহ সুসংবদ্ধ বক্তব্য নিচে দেওয়া হল । গত কয়েকদিন ধরে কতকগুলি চিন্তাভাবনা ক্ৰমাগত আমার মনে জাগছে, তার ফলে মনে মনে আমি অশান্তি ভোগ করছি। এইসব চিন্তাভাবনা খুলে বলতে পারলে আমার বিশ্বাস এখনকার তুলনায় কিছুটা মনের শান্তি ফিরে পাব এবং তা আমার স্বাস্থ্যোন্নতি ও রোগ নিরাময়ে সাহায্য করবে। অতএব যাতে ধীরেসুস্থে কয়েকটি বিবৃতি প্ৰকাশ করতে পারি। সেইজন্য আমার ডাক্তারদের কাছ থেকে আমি অনুমতি নিয়েছি। এর মধ্যে কয়েকটি বিবৃতি আমার কাছে এখনই তৈরী রয়েছে। আমার জেলে থাকার সময়ে এগুলি অসম্পূর্ণ চিঠির অ্যাকারে লেখা । বাংলাদেশের কংগ্রেস মহল এখন যে বিষয় নিয়ে বিক্ষুব্ধ প্ৰথমেই আমি সেই বিষয়ে আলোচনা করছি, অর্থাৎ, শ্ৰীশরৎচন্দ্ৰ বসু সম্পর্কে মৌলানা আবুল কালাম আজাদের ফরমান। দেশ যখন এত বড় একটা সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলেছে এবং কংগ্রেস নেতারা নিজেরাই যখন বারে বারে ঐক্যের জন্য আবেদন করছেন, তখন কী করে। মৌলানা এরকম ব্যবস্থা গ্ৰহণ করতে পারলেন, তা আমার বুদ্ধির অগম্য । আমরা যে আমাদের দিক থেকে মনেপ্ৰাণে জাতীয় একতার