পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা কংগ্রেসের জট SS করতে চাইছে এবং তাতে তারা সব সময় দক্ষিণপন্থী হাই কমাণ্ডের সমর্থন পাচ্ছে। এভাবে দু দিক থেকে সমান সুবিধা নেওয়া চলে না । নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনাধিকার মানা হবে এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটিতে সংখ্যালঘুর শাসনাধিকার থাকবে-এ হয় না । অতএব দিনের পর দিন মৌলানা “যে কোন মূল্যে শৃঙ্খলা রক্ষা”র যে যুক্তি দেখিয়ে চলেছেন তা ধোপে টেকে না। বলা যেতে পারে, যেহেতু হাই কমাণ্ড কংগ্রেসের সৰ্বোচ্চ কাৰ্যনিৰ্বাহক সংস্থা, যেখানে যত কংগ্রোসকমী ও কংগ্রেস সংগঠন আছে সবার কর্তব্য তার নির্দেশ মেনে চলা । কিন্তু এই ধরনের শৃঙ্খলাচরণ একমাত্র কর্তৃত্বকেন্দ্ৰিক সংগঠনেই সম্ভব । আমি আগেই বলেছি, গণতান্ত্রিক সংগঠনে শৃঙ্খলার একমাত্র অর্থ “সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনাপিকার” । কোন অবস্থাতেই তা বোধ হয় ওপরওয়ালা অফিসারের কাছে নতিস্বীকার বোঝায় না । বর্তমান ক্ষেত্রে মৌলানা বঙ্গীয় কংগ্রেস সংসদীয় পাটিকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করেছেন এবং পাটির অজ্ঞাতসারে পার্টির একটি প্ৰস্তাবকে কার্যকর করার জন্য পাটিনেতাকে শাস্তি দেবার উদ্যোগ করছেন। প্রস্তাবটি ছিল এই, অ্যাপার হাউসে পরোক্ষ নির্বাচনের প্রশ্নে ভোটের দাবিতে পার্টিনেতা দলীয় সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ g2भा? <दूCदन्म ! যদি এই যুক্তি প্ৰদৰ্শন করা হয় যে, সংখ্যাধিক্যের শাসনাধিকার নীতি কেবলমাত্র নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা যাবে এবং বাকি সব কংগ্রেস-সংগঠনের নিজস্ব স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বলতে কিছু নেই, অতএব তারা অন্ধভাবে হাই কমাণ্ডের অর্থাৎ নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির ওয়ার্কিং কমিটির নির্দেশ মেনে চলবে।--তাহলে আমাকে কংগ্রেস গঠনতন্ত্র উল্লেখ করতে হয়। গঠনতন্ত্রের ২ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটিরু মত স্থানীয় সংগঠনগুলি নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির মতই কংগ্রেসের অবিভাজ্য অংশ এবং নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির দয়ায় তাদের