পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳ\Ն কোন পথে ? তিনি αι কংগ্রেস থেকে আপামর জনসাধারণকে শীঘ্রই বিতাড়িত করে ছাড়বেন, তাতে র্তার বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। তঁাকে দেখে আমার শেষ মোগল সম্রাটদের কথা মনে পড়ে যায়। তখনও পৰ্যন্ত রাজকীয় জাকজমক আড়ম্বরের মধ্যে থাকার ফলে তঁরা একেবারেই বুঝতে পারেননি যে তাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে, বুঝতে পারেননি তঁদের সাম্রাজ্য আগেই বেহাত হয়ে গেছে । আমাদের এই একালের বাদশাহর কাণ্ডজ্ঞান কে ফিরিয়ে আনতে পারে, আমি ভেবে পাই না ; ওয়ার্কিং কমিটি তার সব ক্ষমতা মহাত্মা গান্ধীকে অৰ্পণ করে এবং তার বেশির ভাগ সদস্যই জেলে চলে যায়। মৌলানা আবুল কালামের হাতে তাই কোনই ক্ষমতা নেই, তবু তিনি বিখ্যাত ফরাসী সম্রাটের মত ভেবে চলেছেন—“আমিই রাষ্ট্র” । আজ যদি কোন একজন ব্যক্তির কংগ্রেসের নামে কথা বলার অধিকার থাকে, জ্ঞা আছে মহাত্মা গান্ধীর, মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নয়। এমন কি যখন ওয়াকিং কমিটি চালু ছিল, তখনও না প্রেসিডেণ্টেয়, না নিখিল ভারত সংসদীয় সাবকমিটির শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার ছিল । শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের যখনই দরকার হোক, ওয়ার্কিং কমিটিকে সর্বদা মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে । এ বিষয়ে মৌলানার মাদি কোন সন্দেহ থেকে থাকে, তাকে অনুরোধ করছি, ওয়ার্কিং কমিটির যে প্ৰস্তাবে সংসদীয় সাবকমিটি নিয়োগ করা হয়েছে তার শর্তগুলি তিনি যেন নজর করে দেখেন । নিয়মশৃঙ্খলা ও অঙ্গীকার রক্ষার যুক্তি মৌলানার একমাত্র সম্বল। কিছুতেই তিনি বুঝছেন না, যেহেতু সেই অঙ্গীকারের পরে কংগ্রেসের ভিতরে বৈপ্লবিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অতএব ঐ যুক্তি আর টেকে না । ওয়ার্কিং কমিটি জনগণের আস্থা হারিয়েছে। বাংলাদেশে ওয়ার্কিং কমিটি বিধিসঙ্গত প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটিরও আস্থাভাজন নয়। ফলে সেই অঙ্গীকার আপনি বাতিল হয়ে গেছে। ১৯৩৬-৩৭ সালে যে পরিস্থিতি ছিল তাতে এবং সেইসঙ্গে তখনকার ওয়ার্কিং কমিটিকে