পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লর্ড লিনলিথগোকে লেখা দুইটি চিঠি &bry হতে পারেনি। কিন্তু আজ মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার" অনিবাৰ্য প্ৰতিফলস্বরূপ হিন্দু বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে। সাম্প্রদায়িক ঘূর্ণির অন্তহীন আবর্তের মধ্যে পড়ে যারা জাতীয়তায় বিশ্বাসী তারাও অসহায় বোধ করছে। ৬। অবশ্য এ কথা বলা যেতে পারে, ১৯৩৭ সাল থেকে বাংলাদেশের হিন্দুরা যে নিগৃহীত হচ্ছে, অথবা তাদের মধ্যে থে সাম্প্রদায়িকতার প্রসার হচ্ছে বা শাসনব্যবস্থা সাম্প্রদুয়িকতায়, অযোগ্যতায় ও দুর্নীতিতে কলুষিত হচ্ছে, এ সবের সঙ্গে ইংরেজ পর্মকারের বা ইংরেজ সওদাগরী সম্প্রদায়ের কিংবা সাধারণভাবে মুসলিমদের প্রত্যক্ষত কোন যোগ নেই। কিন্তু তা কেবল আপাত সত্য 1 আমার বক্তব্য এই যে, আজ যদিও বাংলার হিন্দুরা দুৰ্দৈব ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে, অবস্থার এমন পরিণতি ঘটছে যাতে খুব শীঘ্রই অপরাপর সম্প্রদায়গুলিকেও তা প্ৰভাবিত করবে। অন্যভাবে বল৩ে গেলে বলা যায়, বাংলাদেশের মুসলিম মন্ত্রিমণ্ডলী যে অস্ত্র নিক্ষেপ করে চলেছেন। অনতিবিলম্বে তার প্রত্যাঘাতের শিকার হবে। আর সব সম্প্রদায় । এবং বাংলাদেশে যেদিন সিন্ধুর সঙ্কট দেখা দেবে, পরিস্থিতি তখন এমন হবে যে কোন প্ৰতিকার সম্ভব হবে না । ৭ । বাংলার নিদারুণ সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতির প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি, তার কারণ এই নয় সে, হিন্দুরা দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে, তার কারণ এই যে, অনতিবিলম্বে এর প্ৰতিবিধানের উপায় যদি না পাওয়া যায় এবং তা কাৰ্যকর করা না। হয় তাহলে সমগ্র প্রদেশের ভবিষ্যৎ শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে । ৮। এর অন্যতম সম্ভাব্য প্ৰতিবিধান, এবং বর্তমান অবস্থাবিপাকে মনে হয় সর্বশ্ৰেষ্ঠ প্ৰতিবিধান, এমন একটি সরকার গঠন করা যা প্রধান প্ৰধান সম্প্রদায় দুটির আস্থাভাজন হবে এবং সমগ্র প্রদেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবে। ন্যায়বিচার, সততা ও যোগ্যতার উপর প্ৰতিষ্ঠিত শাসনব্যবস্থাই এই সমস্যার আদর্শ সমাধান । বর্তমানে যদিও আমাদের কিছু মন্ত্রী আছেন যারা নিজেদের হিন্দু বলে