পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sኳr8 কোন পথে ? নয়—যেহেতু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে সভা ইত্যাদির অনুষ্ঠান হতে পারে। কিন্তু যারা আমার যুগের মানুষ, র্যারা বিশ বছর ধরে জনসেবার কাজে লিপ্ত আছেন তঁরা সভা অনুষ্ঠানের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে কখনই অভ্যস্ত নন এবং সেই অভ্যাস আমরা এখন ত্যাগ করতে রাজী নই। সরকারও যে আমাদের না জানেন তা নয়। অতএব উল্লিখিত বিজ্ঞপ্তি বস্তুতপক্ষে সর্বপ্রকার সম্পারণ সভা ইত্যাদির উপর নিষেধাজ্ঞা হয়েই দাড়াচ্ছে । ৪ । আপনার হয়তো স্মরণে আছে, ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ায় বাংলা সরকার যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। সে বিষয়ে গত বৎসরে আমি কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। তারপরে আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই, তারা যেন সেই অদ্ভুত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে ব্রিটিশ ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করেন । আমি তাদের বিশেষ করে বলেছিলাম, দিল্পী সমেত দেশের সর্বত্র আমার বক্ততা দিতে কোন বাধা নেই। অথচ বাংলাদেশে প্ৰবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে মুখ বন্ধ করতে হলো—এই ব্যাপারটা কতখানি অসংগত । আমি আরও জানিয়েছিলাম, অন্যান্য সরকারের মত বাংলা সরকারও রাজদ্রোহাত্মক যুদ্ধবিরোধী বক্ততার ক্ষেত্রে যা ব্যবস্থা নেবার তা নিতে পারেন, কিন্তু তাই বলে সব ধরনের সভা ইত্যাদির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা শুদ্ধ অন্যায় নয় অপ্রয়োজনীয়ও । আমার আবেদনে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি, অগত্যা পাঁচ মাস অপেক্ষা করার পর শেষ পৰ্যন্ত নিছক মারিয়া হয়ে আমরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে শুক করলাম। প্ৰথম প্ৰথম আমাদের কিছু কিছু লোককে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছিল, অনতিকাল পরেই দেখা গেল কর্তৃপক্ষের সুমতি হয়েছে, পরে তঁরা তার আমাদের সভায় হস্তক্ষেপ করেন নি । আমি মনে করি না, এই রকম অদ্ভুত আচরণে বাংলা সরকারের মর্যাদা ८वृष्छ्व्लिं | ৫ । আজ ঠিক অনুরূপ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে এবং বাংলা