পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS কোন পথে ? যতদূর সম্ভব সোজা কথায় ব্রিটেনকে জানিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে যে, সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে লোকবল, অর্থ ও সামর্থ্য দিয়ে ভারত রসদ যোগাবে না। যুদ্ধ প্ৰতিরোধের জন্য কংগ্রেস প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ, যদিও সেই প্ৰতিরোধের চরিত্র আবশ্যিকভাবে হবে অহিংস। অতএব ওয়ার্কিং কমিটি সম্প্রতি যা বলেছে, যেমন, যুদ্ধের কোন জরুরী অবস্থায় আমরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে সাহায্য করব না, এইটুকু বলাই যথেষ্ট নয়। আমাদের আরও অগ্রসর হতে হবে। সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে যোগদানে বাধ্য করানের চেষ্টাকে অহিংসভাবে প্রতিরোধ করার দৃঢ়সংকল্প গ্ৰহণ করতে হবে। ওয়ার্কিং কমিটি কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্যদের কেন্দ্রীয় এসেমরি ও কাউন্সিল অফ স্টেটের পরবর্তী অধিবেশনে যোগদান না করার জন্যে নির্দেশ দিয়েছে। কিছু না করার থেকে নিশ্চয় এটুকুও ভালোতবে প্রয়োজন অনুপাতে এ ব্যবস্থা অত্যন্ত সামান্য । ভারত সরকারের যুদ্ধ প্ৰস্তুতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্যদের এখনই পদত্যাগ করা উচিত এবং এই প্রশ্নে নিৰ্বাচকমণ্ডলীর কাছে নতুন নির্দেশের জন্য আবেদন করা উচিত। এর ফলে জনসাধারণের রাজনৈতিক চেতনা বৃদ্ধি পাবে এবং এমনকি রাস্তার লোকদের কাছেও যুদ্ধে ভারতের যোগদানের প্রশ্ন জীবন্ত প্ৰসঙ্গ হয়ে দাড়াবে। যদি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যুদ্ধ না বাধে এবং বর্তমান বিপদ কেটে যায়, আমরা যেন নির্বোধের মত না ভাবি যে সংকটের চরম মীমাংসা হয়ে গেছে। রুমানিয়া নিয়ে অথবা উপনিবেশের উপর জার্মানদের দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা আবার বেড়ে উঠতে পারে। তাছাড়া, হের হিটলার মন্দি যুদ্ধ চায়, লাগসই সুযোগের তার অভাব হবে না। অতএব ভারতবর্ষে আমরা যেন খেয়াল রাখি যে বর্তমান আন্তর্জাতিক উত্তেজনা অব্যাহত থাকবে এবং সেই অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে eি আজকের সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আমি মহাত্মা গান্ধী ও ওয়ার্কিং কমিটির কাছে একটি প্ৰস্তাব দিয়েছি। আমি তাতে বলেছি,