পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের সন্ধানে ২৮শে অক্টোবর ১৯৩৯ এর ফরওয়ার্ড ব্লকে” স্বাক্ষরিত প্ৰবন্ধ। প্রতিটি জাতির জীবনে এমন সময় আসে যখন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেই সিদ্ধান্ত জাতির ভবিষ্যৎকে বঁচিয়ে তুলতে পারে অথবা সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এই সব সময়ে প্রায়ই দেখা যায়, চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে কয়েকজনকে, কখনও বা এক জনকেও । ১৯১৭ সালে লেনিনের নেতৃত্ব যদি ভিন্ন খাতে চলত তাহলে রাশিয়ার ভাগ্যে কী ঘাটত, আজ তা অনুমান বা কল্পনার বিষয় । জাতির ভবিষ্যং যাদের হাতের মুঠোর মধ্যে কীভাবে তারা এই প্ৰচণ্ড দায়িত্ব পালন করবে ; স্বভাবত তাদের ভাবতে হবে এবং গভীরভাবে ভাবতে হবে । সামনে পিছনে তাদের তাকিয়ে দেখতে হবে-দেখা দরকার সম্ভাব্য বিকল্প বিবেচনা করার জন্য এবং পরিণাম কী হতে পারে তা বুঝে নেবার জন্যে। তবুও সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হতে পারে। সঙ্কটের মুখোমুখি হয়ে সব নেতা বলিষ্ঠ ও সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যদিও সেই সামর্থ্য কারও থেকে থাকে, একটা নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে হলে যে-সকল তথ্য ও আনুষঙ্গিক বিষয় জানা প্রয়োজন মানুষের বুদ্ধি তা নাও যোগাতে পারে। আমরা সময় সময় শুনি বুদ্ধিতে যেখানে কুলোয় না। সজ্ঞান বা প্ৰজ্ঞা সেখানে সফল হয় । ইতিহাসের র্যারা মহানায়ক তঁরা দুৰ্ভেদ্য অন্ধকারের মধ্য দিয়ে পথ চ্চিন এগিয়ে গেছেন এবং সজ্ঞান বা প্ৰজ্ঞায় ভর করে তঁরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তী ঘটনাবলী তার সার্থকতা প্ৰমাণ করেছে। f এই উক্তির মধ্যে অনেকগ্লানি সত্য আছে। আমাদের সীমিত অভিজ্ঞতার মধ্যেই আমরা এমন অনেক নেতা দেখেছি। যারা নির্ভুল রাজনৈতিক সংজ্ঞানে চালিত হয়ে সংকট মুহূর্তে আশ্চৰ্য সব সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ