পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার দেশ পরিক্রম MCVS জায়গায়, যেমন গুজরাটে, প্রচ্ছন্নভাবে প্রচার চালানো হয় এবং আমার কোন কোন রাজনৈতিক প্ৰতিপক্ষ অত্যন্ত জঘন্য ও নির্লজ্জভাবে আমার নামে অপবাদ ছড়াতে কুঠা বোধ করেনি। পাটনায় একদল লোক প্ৰাদেশিক বিদ্বেষকে যতদূর সম্ভব কাজে লাগিয়েছিল এবং ‘গান্ধীবাদ জিন্দাবাদী আওয়াজ তুলে জুতো ও ইটপাটকেল ছুড়েছিল। ৯ই জুলাই আমার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পর, আমাকে খোলাখুলিভাবে কংগ্রেসবিদ্রোহী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল । আমার রাজনৈতিক প্ৰতিপক্ষীরা আমার বিরুদ্ধে যে প্রচার চালায় তারমধ্যে নানা রকমফের ছিল । কখনও তারা বলে, হিন্দু মহাসভা এবং ডাক্তার আম্বেদকরের ইণ্ডিপেণ্ডেণ্ট লেবার পার্টির মত কংগ্ৰেসবিরোধী দলগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমি একটা নতুন দল গঠন করছি। অন্য সময়ে বলে, আমি মুসলীম লীগে যোগ দিয়েছি । এই ধরনের প্রচার তবু সহ্য করা যায়। কিন্তু সত্য ও অহিংসার ধ্বজাপারীরা মুখে মুখে গোপনে যে, কদৰ্য প্রচার চালিয়ে চলেছিল, যার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা সম্ভব ছিল না, সে সম্পর্কে করার কী ছিল ? এই অবস্থার মধ্যে এবং এইরকম বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়ে আমাকে পৰ্যটন করতে হয়েছে । এছাড়া, মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে পরিচিত নেতারা প্ৰায় সবাই আমার বিরুদ্ধে একজোট । আমার কাছে সুপারিশ বলতে কী যে ছিল তা বলে বোঝানোর থেকে কল্পনা করাই ভালো । তা সত্ত্বেও শুরু থেকে শেষ পৰ্যন্ত, এই পরিক্রমা হয়ে উঠেছিল যেন জয়যাত্রা । এক প্ৰদেশ থেকে আরেক প্রদেশে যতই গিয়েছি আমার বিস্ময় উত্তরোত্তর ততই বেড়েছে। এবং আজ আমার পক্ষে বলা কঠিন, কোন প্ৰদেশ আমাকে সংবর্ধনা জানাতে সর্বাধিক উৎসাহ দৈখিয়েছে । ১৯৩৯-এর ২৯শে এপ্রিল কলকৃতায় নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির মিটিংয়ে আমি যখন ভারতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিই, তখন আমি অন্ধকারে ঝাঁপ দিয়েছিলাম। আমার S)