পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ख्भांब्र ८बंब्रिका W94 ছাড়িনি। বোম্বাই থেকে যা খবর পাচ্ছিলাম তা ছিল আমার মনোভাবের পক্ষে । তাছাড়া যাত্রাপথের স্টেশনগুলিতে আমি যে সংবর্ধনা পাচ্ছিলাম, বিশেষ করে দিল্পীতে, জব্বলপুরে এবং অনুরূপ আরও অনেক জায়গায়, তাতে জনসাধারণের মনোভাব আমি বুঝতে পেরেছিলাম। স্টেশনগুলিতে যে বিপুল জনতার সমাবেশ ঘটেছিল তাই শুধু আমার আগ্রহ জাগায়নি, যে উৎসাহের প্রাচুর্য তাদের অনুপ্রাণিত করেছিল, তাদের মুখে যে ভাব, তাদের চােখে যে দীপ্তি দেখেছিলাম তাও আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি কোন মিথ্যা ভেখ নিয়ে হাজির হইনি। তারা ভালোভাবেই জানত আমি কী উদেশ্য নিয়ে পরিভ্রমণ করছি-কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা এসেছে এবং এসেছে তাদের নিজেদের ইচ্ছায় । সেই সময়ে আমাকে পোষকতা করার মত কোন সংগঠন ছিল না বললেই হয়। কিন্তু ফরওয়ার্ড ব্লকের মধ্যে নিঃসন্দেহে কালধৰ্ম মূর্ত হয়ে উঠেছিল। জনসাধারণকে যে অস্ফুট অনুভূতি আশা আকাঙ্ক্ষা নাড়া দিচ্ছিল ফরওয়ার্ড ব্লক তাকেই ভাষা দিয়েছিল। সেই কারণেই ব্লক স্বতঃস্ফৰ্তভাবে তাদের চিত্ত জয় করেছে এবং জয় করেছে অভূতপূর্ব মাত্রায় । বোম্বাইয়ে পৌছনোর পর আমি যে সংবর্ধনা পাই তা সংখ্যার দিক থেকে দেখতে গেলে গত বছরের পর্যায়ে হয় নি । কিন্তু উৎসাহের মাত্রা ছিল যেমন অনেক বেশী, তেমনই ছিল তা সম্পূর্ণ স্বতঃস্ফুর্ত। কংগ্রেস সংগঠনের মনোভাব ছিল অসহযোগের মনোভাব এবং সম্ভবত, কিছু পরিমাণে, প্রচ্ছন্ন শক্রিতারও-কিন্তু তাতে তেমন কিছু আসে। যায় নি । আজাদ ময়দানে যে জনসভা হয় তাকে বলা যেতে পারে। বিরাট জনসভা এবং শ্রোতাদের করতালি থেকে বিচার করলে, ” জনসাধারণ ছিল পুরোপুরি আমাদের দিকে। এই বিরাট জনসভার পর শহরের প্রতিটি এলাকায় আমরা পর পর সভা করি। যে সব এলাকাকে গান্ধীবাদীদের ঘাটি বলে গণ্য করা হত, সেই সব এলাকায় অনুষ্ঠিত সভায় বিপুল সংখ্যক উৎসাহী জনতার সমাবেশ দেখে অনেকেই অবাক হয়েছে এবং অনেককেই বলতে শোনা গেছে, এই