পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতীতে দৃষ্টিপাত 愈@ মার্চ মাসে ত্রিপুরিতে কংগ্রেসের যে বার্ষিক অধিবেশন স্থির ছিল সেখানে খোলাখুলি লড়াইয়ের আয়োজন চলল। ত্রিপুরিতে প্রেসিডেন্টের ভাষণে আমি দৃঢ় নীতি অবলম্বন করার কথা বলি, তাতে উল্লেখ করি, ব্রিটিশ সরকারের কাছে ভারতের জাতীয় দাবি পেশ করতে হবে, জবাবের জন্যে ছয় মাসের একটা সময় সীমা নির্দিষ্ট করতে হবে এবং অন্তর্বতী সময়ে সর্বপ্ৰকার সম্ভাবনার জন্যে প্ৰস্তুত থাকতে হবে। আমার প্রস্তাবগুলিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হল না । স্বরাজের প্রশ্ন তোলা রইল এবং গান্ধীবাদীদের একমাত্র চিন্তা ও প্ৰচেষ্টা হয়ে দাড়াল, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তঁদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া। ইতিমধ্যে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুকে তঁদের দলভুক্ত করতে পারার ফলে তঁরা আশান্বিত হয়ে উঠেছিলেন। তঁরা সাফল্যলাভ করেছিলেন ঠিকই। তবে জাতীয় আদর্শের কতটা ক্ষতিসাধন করে আমরা আজ তা বুঝতে পারছি। ত্রিপুরি কংগ্রেসের পর গত এপ্ৰিল মাসের শেষাশেষি কলকাতায় অল ইণ্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির বৈঠক বসে। সেই কমিটির প্রধান সমস্যা ছিল কংগ্রেসের ওয়াকিং কমিটি ( বা কেবিনেট ) গঠন করা । সাধারণের কাছে এখন সুবিদিত, বামপন্থী ও দক্ষিণপন্থীদের দিয়ে তার সঙ্গে কিছু নতুন কর্মী অন্তভুক্ত করে আমাকে যখন মিশ্র কেবিনেট গঠন করতে দেওয়া হল না, আমি তখন পদত্যাগ করি । তখনও পর্যন্ত দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে দেশের বামপন্থী আন্দোলন চালনা করা হচ্ছিল। কলকাতায় দক্ষিণপন্থীরা সুনির্দিষ্ট একটা দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে জোট বঁধিল, মিশ্র কেবিনেট আচল এবং বামপন্থী ও দক্ষিণপন্থীদের মধ্যে সহযোগিতা আর সম্ভব নয়। আমাদের সামনে দুটি পন্থা খোলা রইল-হয় দক্ষিণপন্থীদের কাছে আত্মসমৰ্পণ করা কিংবা নিজেদের পায়ে””দাড়িয়ে বামশক্তিকে সংগঠিত করা । শেষোক্ত পস্থা আমি গ্ৰহণ করলাম । কিন্তু কেন ? ত্রিপুরি কংগ্রেসের পর মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে আমার যে পত্রালাপ হয় তাতে সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। দক্ষিণপন্থীদের কাছে