পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাদের সঙ্গে লড়াই কার ? WS) এবং নিজেদের সম্প্রদায়ের লোককে ছাড়া অন্য সম্প্রদায়ের লোককে ব্যক্তিগতভাবে সেবা করিয়া বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি প্ৰতিষ্ঠা করাকেই তাহাদের কর্তব্য বলিয়া মনে করা এবং কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে যাহারা হিন্দু তাহদের দ্বারা ব্যক্তিগতভাবে যত বেশী সম্ভব হরিজনদের সহিত ভ্ৰাতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন করা । অতএব কংগ্রেস সংগঠনগুলি এবং কংগ্ৰেসকর্মীরা এই কাৰ্যক্রম অনুসরণ করিয়া ভবিষ্যৎ কর্তব্য পালনের জন্য প্ৰস্তুত হইবে • • •” প্ৰস্তাবের এই অংশে এসে আমরা বারবার চোখ রাগড়ালাম, আরেকবার ভালো করে কাগজের তারিখটা দেখলাম, নভেম্বর ২৪, ১৯৩৯ । অতএব ১৯৩৯-এর এই শুভবর্ষে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের মত সুপ্ৰতিষ্ঠিত ও গুরুত্বসম্পন্ন একটি রাজনৈতিক পার্টি দেশকে প্ৰত্যক্ষ সংগ্রামের জন্য প্ৰস্তুত করতে এইপ্ৰকার অত্যাশ্চৰ্য এক পরিকল্পনা উপস্থাপিত করতে পারে। স্বেচ্ছাসেবকদের তালিকাভুক্ত করার কথার উল্লেখ নেই-প্রত্যক্ষ সংগ্রামের কার্যক্রমের জন্য কর্মীর কথা নেই। মহত্তর আত্মশক্তির কাছে কোন আবেদন নেই।--যে আবেদনে প্রতিটি শিরায় রক্ত চঞ্চল হয়ে ওঠে এবং নিগ্ৰহ ও দুঃখভোগ করার জন্যে মানুষকে যা অসমসাহসিক করে তোলে । অর্থসংগ্রহের জন্যও একটি কথাও নেই, হিংস্র বা অহিংস যে কোন যুদ্ধের পক্ষে যা অপরিহার্য । অন্যান্য অনাবশ্যক ব্যাপার স্থগিত রেখে সংগ্রামের জন্য তৈরি থাকারও কোন নির্দেশ নেই। তার বদলে আমাদের বলা হল ডেলিগেট নির্বাচন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইত্যাদি সহ রামগড় কংগ্রেসের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে-যেন কিছুই ঘটেনি বা ঘটবে না। কিন্তু ভারতের জনসাধারণ কিছুদিন আগে পৰ্যন্ত রাজনীতি বিষয়ে যতটা সরল ও অজ্ঞ ছিল এমন আর তা নেই। আজকের দিনে একটা শিশুও কি, এ কথা জানে না যে, যুদ্ধের জরুরী অবস্থায় যে কোন সরকার বা পার্টি প্ৰথম যে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করে তা হল অনির্দিষ্টকালের জন্য নিৰ্বাচন মুলতুবী রাখা ? এই পটভূমিকায় জাজ্জল্য হয়ে দেখা দেয় ডক্টর রাজেন্দ্ৰপ্ৰসাদ সহ