পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার গর্জন ৯ই ডিসেম্বর ১৯৩৯-এ “ফরওয়ার্ড ব্লক’এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় । “দি ফ্ৰেণ্ড অফ ইণ্ডিয়া তার প্রথা সিদ্ধ ভূমিকা থেকে কিছুদিন সরে দাড়াবার পর, পুনরায় তার নিজ মূর্তি ধারণ করেছে। সাময়িক এই স্বধৰ্মচুতুতির সময় দেশের ভিতরকার ও বাইরেকার ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনায় সে সামঞ্জস্য, মৰ্যাদা ও সুষম বোধের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু নিজের স্বধর্মে ফিরে আসার পরই সে যেন পাগলা কুকুরের মত ক্ষেপে উঠেছে। একটি ব্যাপারে। কিন্তু “দি ফ্ৰেণ্ড অফ ইণ্ডিয়া” বরাবর নিয়মনিষ্ঠ, বর্তমান লেখক সম্পর্কে তার গভীর বিদ্বেষ ও ঘূণার ভাব পোষণে । অধিকাংশ ইংরেজদের সঙ্গে তার এক বিষয়ে গরমিল, “ফ্রেণ্ড' রাজনীতিতে সোজাসুজি স্পষ্টোক্তি বরদাস্ত করতে পারে না, যারা তোষামোদ করে, পদলেহন করে, তারাই তার প্ৰিয় । এইটুকু শুধু আশা করা যেতে পারে, ভারতে সরকারী বা বেসরকারী যে সব ইংরেজ আছে তাদের যথার্থ মনোভাব “দি ফ্রেণ্ড অফ ইণ্ডিয়া’য় প্রতিফলিত হয় না । যদি তা হয়, তাহলে তাদের সম্পর্কে বাস্তবিক হেয় ধারণা পোষণ করতে হবে । তারা এত অস্থিরমতি, এত খামখেয়ালী, রাজনৈতিক হাওয়া যেই বদলাচ্ছে আমনি তাদের মতও পাল্টিয়ে যাচ্ছে-কল্পনা করতেও কষ্ট হয় । মাসের পর মাস ধরে আমাদের ‘ফ্রেণ্ড’ ভারত সম্পর্কে উদার ও প্ৰগতিশীল নীতি গ্ৰহণ করার সপক্ষে বলে আসছিল। কিন্তু অক্টোবর মাসে বড়লাটের বিবৃতি বার হবার প্রাক্কালে হঠাৎ তাকে দেখা গেল গোড়া রক্ষণশীল হয়ে উঠেছে। তার পর থেকে তার মেজাজ কাপনাও গরম কখনও s[:3] ! যুদ্ধ বান্ধবার আগে ‘দি ফ্ৰেণ্ড অফ ইণ্ডিয়া’ বৈদেশিক ব্যাপারে ছিল আশ্চর্য ওয়াকিবহাল, যদিও তার বৈদেশিক নীতি সব মহলের যে অনুমোদন ক্লাভ করত তা নয়। আগেকার দিনে ‘ফ্রেণ্ড' ছিল হাড়ে