পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি স্মারক ዓዓ তাহলে ফরওয়ার্ড ব্লককে আন্দোলন শুরু করার জন্যে এবং সচলভাবে সক্রিয় হবার জন্যে উদ্যোগী হতে হবে । কবে সেদিন আসবে যখন কংগ্রেসের অধিকাংশ সদস্য আমাদের মতে মত দেবে অথবা কংগ্রেসকে আন্দোলন শুরু করার সংকল্প গ্ৰহণ করাতে আমরা সমর্থ হব, তারজন্যে কালের দ্বারপ্রান্তে অপেক্ষা করে বসে থাকবার অবসর আমাদের নেই । ইতিহাসে মাঝে মাঝে এমন ঘটনা ঘটে যখন অগ্রবর্তী দলকে আর সবার আগে এবং সম্ভবত সাময়িকভাবে তাদের থেকে আলাদা হয়েই কাজ করতে হয় । পরিস্থিতি যখন মরিয়া হবার মত, সময় সময় মরিয়াভাবেই তার প্রতিবিধান করতে হয় । এই রকম নীতির বিপক্ষে দুটি যুক্তি দেখানো হবে। নিয়মশৃঙ্খলার ব্যাপারে যারা মতান্ধ তাদের যুক্তি হবে, যদি বামপন্থীরা অথবা অগ্রবর্তী দল। এইভাবে কাজ করে তাহলে নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে এবং সাংগঠনিক ঐক্য লোপ পাবে। কুটো বাস্তববাদীরা যুক্তি দেখাবে, অগ্রবর্তী দল। এইভাবে কাজ করলে তারা নিজেদের আলাদা করে ফেলবে এবং তার ফলে নিজেদের শক্তিহীন করবে-আসলে তার পক্ষে উচিত হবে সাধারণ কর্মীদের থেকে দক্ষিণপন্থী নেতৃত্বকে পৃথক করার চেষ্টা করা । প্ৰথম যুক্তি সম্পর্কে আমাদের জবাব, একতা ও নিয়মনিষ্ঠা নিজেরাই লক্ষ্য নয়, তার লক্ষ্যে পৌছনোর উপায়। তাদের মূল্য ততখানি যতখানি তার কর্ম ও সংগ্রামের ক্ষেত্রে আমাদের শক্তিশালী করে । তারা যদি আমাদের নিস্ক্রিয় করে রাখে। তবে তার নিরর্থক। দ্বিতীয় যুক্তি সম্পর্কে আমাদের জবাব, সচল কোন নীতি গ্ৰহণ করার ফলে অগ্রবর্তী দলের পক্ষে সাধারণ কর্মীদের থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার যেমন সম্ভাবনা থাকে, তেমনই সমানভাবে এও সম্ভব যে, সঙ্কটের মুখে দ্বিধাগ্ৰস্ত রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে যখন সমস্ত কর্মোন্তিম বিবশ হয়ে গেছে, বামপন্থীদের তরফ থেকে দুঃসাহসিক কোন কর্মপ্রয়াস সেই অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে পারে, আগ্ৰহী ও উৎসাহী কর্মীদের কর্মের আবর্তে টেনে এনে দক্ষিণপন্থী নেতৃত্বকে তার