পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঠিক পন্থা bry তঁাদের গভীর হতাশা থেকে বোঝা যায় প্ৰথমে ভঁাদের আশার মনোভাব ছিল । কিন্তু আমাদের ভাবতে অবাক লাগে, কিসের ভরসায় তঁরা সরকারের কাছ থেকে অন্যরকম কিছু প্ৰত্যাশ করেছিলেন। কী যে আসছে সে সম্পর্কে আমাদের দিক থেকে আমরা সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম ; অতএব ব্রিটিশ সরকারের জবাব যখন জানা গেল তখন জীব ময় বা নৈরাশ্য কিছুতেই আমরা মুহ্যমান হইনি। অপ্ৰত্যাশিত আঘাতের যন্ত্রণায় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি তৎপরতার সঙ্গে বিভিন্ন প্রদেশের কংগ্রেস কেবিনেটগুলিকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। সেই সময়কার পরিবেশে সিদ্ধান্তটি যতদূর সম্ভব ভালই হয়েছিল, কিন্তু আমরা যাকে বিচক্ষণ কূটকৌশল বলে মনে করি এই সিদ্ধান্ত সেইমত হয়নি । পদত্যাগ না করে কংগ্রেসী মন্ত্রীদের উচিত ছিল নিজ নিজ পদাধিকারে অধিষ্ঠিত থাকা, উচিত ছিল কংগ্রেস কাৰ্যক্রমকে রূপায়িত করে চলা এবং তাদের যা ন্যায্য কর্তব্য সেই কর্তব্য পালন করতে করতে পদচ্যুতি যেচে আনা । এই নীতি যদি অনুসরণ করা হত, তাহলে যে সময়ের মধ্যে শেষ মন্ত্রিসভাকে পদচ্যুত করা হত সেই সময়ে জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা ফেটে পড়ার অবস্থায় পৌঁছত । এসব সত্ত্বেও আমরা কংগ্রেস কেবিনেটগুলির পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছিলাম, আশা করেছিলাম। এই পদত্যাগ অগ্ৰণী এক নীতির পথে প্ৰথম পদক্ষেপ বলে প্ৰতিপন্ন হবে । রাজনীতির বাস্তবক্ষেত্রে দাড়িয়ে দাড়িয়ে পায়তারা কষা বলে কিছু নেই। হয় এগিয়ে যেতে হবে কিংবা পিছিয়ে পড়তে হবে। স্বভাবত আমরা আশা করেছিলাম, ' মন্ত্রীরা আমাদের পথ থেকে একবার সরে গেলে নীচের থেকে চাপে পড়ে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি সচল ও সবল এক নীতি গ্ৰহণ করতে বাধ্য হবে । জনগণের চাপ আছে ঠিকই, কিন্তু কমিটি, তার মধ্যে প্ৰাক্তন স্বামপন্থী নেতা পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুও আছেন, মহাত্মার নেতৃত্বে শেই চাপকে এৰাবৎ প্ৰতিহত করতে সমর্থ হয়েছে । আজ অৱ We