নেতাদের ভুল নেতৃত্ব ৩০শে ডিসেম্বর, ১৯৩৯এ “ফরওয়ার্ড ব্লক’এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় । সাধারণ সরল লোক যারা রাজনীতি বিশেষ বোঝে না, সাধারণত বিশ্বাস করে, যে-বীর অনেক যুদ্ধ জয় করেছে। শেষ পর্যন্ত সে জয় করেই যাবে। কদাচিৎ সে মনে রাখে আউসটারলিটুস-এর বিজয় ওয়াটারলুর বিপর্যয়ে শেষ হতে পারে। এই রকম মর্মান্তিক পরিণতি সত্যি যখন ঘটে, বিস্ময়ে সে হতবাক হয়ে যায়। যাকে ঈশ্বর বলে জেনে এসেছি আসলে সে যে কাদার ঢেলা ছাড়া কিছু নয়-এই আবিষ্কার সর্বদাই বেদনাদায়ক । এই আবিষ্কার একবার করা হলে, জনচিত্ত রাগে হতাশায় বিদ্রোহী হয়ে ওঠে এবং প্রাক্তন ঈশ্বরকে নির্মমভাবে অস্বীকার করে । এইভাবে স্যার সুরেন্দ্ৰনাথ ব্যানজিকে -এককালে যিনি “সারেণ্ডার-নটু ব্যানাজাঁ” ( অর্থাৎ যে ব্যানাজাঁ মাথা নত করেন না ) বলে পরিচিত ছিলেন এবং যিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের অন্যতম জনক ছিলেন-ভঁার প্রাক্তন ভক্তরা-ৰ্তার নিজের দেশবাসীরা তঁাকে বর্জন করে । এই থেকে যদি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে জনসাধারণ অকৃতজ্ঞ বা সাধারণের স্মৃতি স্বল্পস্থায়ী, তা সঙ্গতও হবে না, তাতে ন্যায়বিচারও ক্ষুন্ন হবে। এতে শুধু এইটুকু বোঝায়, কোন নেতার অতীতের দেশসেবার জন্য কোন জাতি যেমন তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে এবং সেই কারণে তাকে ভালও বাসতে পারে, তেমনই সেই জাতি কেবলমাত্র ততদিনই তাকে অনুসরণ করে যতদিন সে সময়ের সঙ্গে তাল রেখে দেশবাসীর পুরোভাগে এগিয়ে চলে। অতীতের দুঃখভূেগি ও আত্মত্যাগ কখনওই সকল অবস্থায় ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের ছাড়পত্র হতে পারে না । যে সকল জাতি জীবন্ত ও প্রগতিশীল তাদের মধ্যে পুরনোর সঙ্গে নতুনের যোগসূত্র থাকে। যারা নতুন আসছে তারা কােন বাধার