পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cकोडूक-काश्निौ। শুনিয়া নভশির কহিল,- “করিলাম শ্রম কত লক্ষ বর্ষাকাল । দুদণ্ড বিশ্রাম করি তাতেও জঞ্জাল ? আহে বজাবাহুবীর, প্ৰতিদিন আর তোমা সম প্ৰতিনিধি হবে না। আমার ; ভাগ্যে যদি পাইয়াছি সুযোগ এমন, হাঁপু ছেড়ে বঁচি, ভাই, করোনা গঞ্জন ।” বজাবাহুর মনে একটু দয়ার সঞ্চার হইল। আহা ! বেচারা এতকাল হইল। এই আকাশের বোঝাটা বহিতেছে ; একটু বিশ্রাম করে করুক, আমার তাতে কিছু কষ্ট হয় তাও স্বীকার। এই ভাবিয়া বজাবাহু নীরবে আকাশ ধরিয়া রহিলেন । নভশির অতি আরামের সহিত উঠিয়া বসিয়া এদিক ওদিক দেখিতে লাগিল । এইরূপে বহুকাল অতীত হইলে সে অবশেষে উঠিয়া সমুদ্রের জলে নামিল ; প্ৰথমবার পা বাড়াইয়া শঙ্ক-যোজন অতিক্রম করিল, জল তাহার হাঁটু পৰ্যন্ত উঠিল ; দ্বিতীয়বার পা বাড়াইয়া আর একশত যোজন গেলে জল তাহার কটিদেশ পৰ্যন্ত উঠিল, তারপর আর একশত যোজন গেলে জল তাহার বুক পৰ্যন্ত উঠিল,-সমুদ্রের গভীরত্ব ইহা অপেক্ষা আর নাই। বজাবাহু নভশিরের পথ চাহিয়া আছেন, কতক্ষণে সে আসিবে। তিনি তঁহার ডান কঁধে গাদ্দাটী খাড়া করিয়াছিলেন; কঁধে বেদন ধরিয়া গিয়াছে । তার একার সাধ্য নাই যে, তিনি গদা ডান বঁটাধ হইতে ৰী বঁটাখে সরাইয়া লয়েন ।