পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্দিরা রাক্ষসী । to S তীরবেগে বায়ুর ভিতর দিয়া লইয়া যায়। বহুদূর যাইয়া চঞ্চল অপেক্ষা করিতে লাগিলেন, পরাজিৎ হাঁপাইতে ইহঁপাইতে আসিয়া পহু ছিলে মৃদু হাস্য করিয়া কহিলেন-“কি হে রাজকুমার, তোমাদের দেশে সকলেই তোমার মত দ্রুত চলে নাকি ?” রাজকুমার চঞ্চলের যষ্টির প্রতি লক্ষ্য করিয়া কহিলেন---“আমার মতন বই কি ? তোমার উষ্ণৗষ আর যষ্টি যদি পাই, আমিও তোমার মত বায়ুগতি যাই । হা ভাই, তোমার টুপিট ও লাঠি গাছটীির পাখা আছে বলে যেন বোধ হয়, তোমাকে যেন উড়াইয়া লইয়া যায় ; অথচ নিকট দৃষ্টিতে কিছু দেখিতে পাই না ।” । চঞ্চল হাসিয়া বলিলেন—“হবে ; তুমি আমার এই লাঠি গাছটি লও, ইহার সাহায্যে আমার সঙ্গে সঙ্গে চলিতে পারিবে: বোধ হয়।” পরাজিৎ লাঠি গাছটা লইলেন, অমনি তঁহার সমস্ত শরীর যেন বায়ুর মত লঘু হইল। দুই জনে তীরবেগে যাইতে লাগিলেন, অথচ একটুও ক্লান্তি কি অসুবিধা • বোধ তইতে লাগিল না । দুইজনে কথা বাৰ্ত্ত কহিতে কহিতে যাইতেছেন। চঞ্চলের প্রতি পরাজিতের খুব ভক্তি ও ভালবাসা জন্মিয়াছে। বহুক্ষণ এইরূপে গমনের পর তঁাহারা অল্প অল্প জঙ্গল বিশিষ্ট এক বিস্তৃত জলাভূমিতে উপস্থিত হইলেন। তখন সন্ধ্যা হইয়াছে । অল্প অল্প অন্ধকার ; জন মানবের বাস নাহিকো তথায়, সদা শুধু হিংস্র পশু চরিয়া বেড়ায়।