পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সজীব S পদও নড়ে না । জয়সেন অত্যন্ত চিন্তাকুল হইয়া করযোড়ে পুত্তলিকার সম্মুখে দাড়াইলেন “কহ, পুত্তলিকে, এবে কি করি উপায় ? সাগরে তো তৈরি দেখি ভাসান না যায় ।” পুত্তলিকা কহিলেন দাড়ধরি যথাস্থানে বসে, বীরগণ, অরবিন্দ করিবেন গীত আলাপন । আপনি নড়িবে তারি-ভাসিবে সত্বর ; * লহ উপদেশ মম, রাজার কোঙর ।” * জয়সেন সহচরীগণকে সেইরূপ অনুরোধ করিলেন । তখন আশাচৰ্য্যের কথা শুন, যেই অরবিন্দ বীণা সম্পর্শ করিলেন, তার গুলি ঝঙ্কার করিয়া উঠিল, অমনি সেই প্ৰকাণ্ড তৈরি শিহরিয়া উঠিল ; তার পর একটা গান আরস্তু হওয়া মাত্র তরি চলিতে লাগিল- গানের আধখানা হইতে না হইতেই সাগরের জলে ভাসিতে লাগিল । বীরগণ জয়ধ্বনি করিয়া উঠিলেন -তীরস্থ দর্শকেরাও জয়ধ্বনি করিতে লাগিল । অরবিন্দ বীণা বজাইতে লাগিলেন, তরি পবনবেগে চলিতে লাগিল । সঁহারা দাড় ধরিয়া বসিয়াছিলেন তাঁহাদের দাঁড় ধরা মাত্ৰই কাজ, বাহিতে আর হইল না । এই--রূপে বহুদিন চলিল । যে স্বৰ্ণলোমের অন্বেষণে জয়সেন চলিয়াছেন, যাহার এত খ্যাতি তাহার কাহিনী বলি, শুন । পূর্বকালে বেশ্মনা নামে এক রাজ্য ছিল ; তথাকার রাজা দুইটী শিশুপুত্র রাখিয়া মরিয়া