পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

PțVSF VSlage | RN) এতদিন রাজশিশুটীর সেবা শুশ্ৰষায় নিযুক্ত থাকিয়া দেবী কুসুমিকার শোক কতকটা বিস্মৃত হইয়াছিলেন ; এখন আবার শোকাগুণ দ্বিগুণ জুলিয়া উঠিল । তিনি পর্বত, কানন, প্ৰান্তর শোকধবনিতে প্ৰতিধ্বনিত করিতে করিতে প্ৰবল ব্যাত্যাতাড়িত শুষ্ক পত্রের ন্যায় পৃথিবীময় বেড়াইতে লাগিলেন নিশীথ নিস্তব্ধে তার শুনিয়া ক্ৰন্দন চমকিত হয়ে গৃহী জাগিত কখন। দেবী কান্দিতেন-“কোথা কুসুমিকা-মাই!” প্ৰতিধ্বনি উত্তরিত “কুসুমিকা নাই!” ‘উর্বরা দেবী একদিন এক পর্বতগহবরে উপস্থিত হইলেন । শঙ্গ স্থান ঘোর অন্ধকার ও অত্যন্ত শীতল ; কখনো তথায় সূৰ্য্যকিরণ প্ৰবেশ করে না । তঁহার বোধ হইল গহবরের ভিতর হইতে রোদনশবদ আসিতেছে । তিনি মনে করিলেন কোন সমতুঃখী তথায় আছে বুঝি। এই মনে করিয়া তিনি গহবর মধ্যে প্রবেশ করিলেন । প্ৰবেশ করিয়া দেখেন, এক বৃদ্ধ একখণ্ড প্ৰস্তুরের উপরে বসিয়া অতি কৰুণস্বরে রোদন করিতেঁছে, মধ্যে মধ্যে আপনার পাকা চুলগুলি মুঠে মুঠে ছিড়িতেছে ও হাত পা আৰ্ছড়াইতেছে। বৃদ্ধার শরীর জরাজীর্ণ, চক্ষু কোটরগত, ও সমস্ত শরীর কালিমা ব্যাপ্ত । দেবী ব্যথিত হইয়া অতি কোমল স্বরে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন “তুমি কেগো, বৃন্ধা, কেন এ শোকরোদিন, তোমারো কি প্ৰাণে, ব্যথা আমারি মতন ?