পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণপরিশ বণিক । ~ S8-9 স্তুপে স্তপে তাহার স্বর্ণমুদ্রা, স্বর্ণের বাসনপত্র ও অন্যান্য বহুমূল্য সম্পত্তি রাখিতেন । আহার নিদ্রার সময় ব্যতীত তিনি প্ৰায় সর্বদাই সেই কক্ষমধ্যে দরজা বন্ধ ইউরিয়া বসিয়া থাকিতেন । কখনো মুদ্রাগুলি, কখনো বাসনপত্রগুলি, কখনো বা আর মুর সম্পত্তি গুলি গণিতেন ও নাড়িতেন চাড়িতেন । ইহাতে র্তাহার অত্যন্ত সুখ হইত ; আবার দুঃখও হইত। ভাবিতেন একটা একটা করি সংগ্ৰহ করিয়া এইমাত্ৰ লভিয়াছি জীবন ভরিয়া আহাহা ! এমন ক্ষুদ্র মনুষ্যজীবন, এক জীবনেতে আর কত হ’বে ধন ? লক্ষ বর্ষ পরমায়ু আমাদের হয়, ধন সংগ্রহের তবে কিঞ্চিৎ সময় ; অথবা পরশমণি কোনখানে পাই স্বর্ণের পিপাসা আমি তা’হলে মিটাই ! একদিন বসিয়া বসিয়া এইরূপ ভাবিতেছেন, এমন সময় হঠাৎ পশ্চাৎ ফিরিয়া দেখেন যে, একটা দিব্য সুন্দর পুরুষ দরজার সম্মুখে দাঁড়ান্টয়া মৃদু মৃদু হাসিতেছে। রত্নপাল প্রথমে অত্যন্ত ভীত পরে অত্যন্ত বিম্মিত ও কুপিত হইলেন “কে তুমি ? কে তুমি এলে কক্ষের ভিভর ? চোর বুঝি ?—দসু্য বুঝি ?--দাড়াও, পামর ?” এই বলিয়া তিনি তরবার খুলিয়া দাড়াইলেন । কিন্তু তখনি ভাল করিয়া চাহিয়া দেখিলেন যে, আগম্বুকের চোর কিম্বা দসু্যর