পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RGt to কৌতুক-কাহিনী ভাত রহিল না, সব সোণার দানা হইয়া গেল ! সোণার দান কি খাওয়া যায় ? রত্নপাল হতম্ভম্বের ন্যায় হইলেন । ভুকবার মনে করিলেন-আচ্ছা দেখি, হঠাৎ মুখে ফেলিয়া দিলে খাওয়া যায় কি না ; এই মনে করিয়া ভাতের থালা সরাইয়া রাখিয়া একটা বাটিতে পায়স ছিল, বাটিটা কিনারায় ধরিলেন-পায়স ছুইলেন না—এবং হাঁ করিয়া বাটি উপুড় করিয়া পায়সগুলি মুখে ঢালিয়া দিলেন । কিন্তু হয়, সে আশাতেও ছাই ! চাল ও দুধের পায়স মুখে পড়িবামাত্র সোণার फॉन्f ও তরল সোনা হইয়া গেল। পায়স গরম ছিল, রত্নপালের জিহবা ও তালু পুড়িয়া গেল। তিনি থুথু করিয়া মুখের সোণা ফেলিয়া দিয়া । জলপাত্র মুখে তুলিলেন, জল তঁহার ওষ্ঠ স্পর্শ করিবামাত্র তরল স্বৰ্ণে পরিবত্তির হইল। বৃদ্ধ রত্নপালের আর সহ্য হইল নাতিনি “হায় ! হায় !” করিয়া কান্দিয়া উঠিলেন । তঁাহার কাতর চীৎকার শুনিয়া ভঁহার কন্যা ললিতা দৌড়িয়া আসিল এবং “বাবা, কি হইয়াছে ? কান্দিতেছ। কেন কৃ” বলিতে বলিতে তাঁহাকে সাপটিয়া ধরিল আর তৎক্ষণাৎ তাহার রক্তংসের দেহ যাইয়া সোণার দেহ হইল-জীবন আর রহিল। ना-शग्न ! रूछ। कि श्श्न ! তখন রত্নপাল শোকে পাগল হইলেন । তিনি আপনাকে ধিক্কার দিতে লাগিলেন এবং বুকে করাঘাত করিতে করিতে ভূমিতলে লুটাইতে লাগিলেন, তাহাতে ঘরের মেকোটা সোণায় বান্ধ হইয়া গেল। রত্নপাল আকুল হইয়া কান্দিতেছেন, কখনো