পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eve কৌতুক-কাহিনী। রাজপুত্র সগর্বে কহিলেন,- “জানি, দূত, কেন সবে কহলনেতে যায়, জানিয়া যাইতে আমি এসেছি স্বেচ্ছায় । সুধু ছয় জন যুবা করি আহরণ, আমি আছি।-বাক্যব্যয়ে নাহি প্ৰয়োজন ।” দূত সে কথা শুনিল না। ভূবিজয়ের বীরত্ব ও মহত্ত্ব এবং তঁহার রাজশ্ৰী দেখিয়া এবং কঙ্কলনে গেলে তঁাহার কি দশা হইবে, তাহা ভাবিয়া তাহার হৃদয় ভক্তি, স্নেহ ও দুঃখে পূর্ণ হইল। সে ব্যাকুলভাবে বার বার কুমারকে অনুরোধ করিতে লাগিল-তিনি তঁাহাব বিষম সংকল্প পরিত্যাগ করিয়া গুহে ফিরিয়া যান। সে তঁহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিল, ষণ্ডাসুরের বিকট মূৰ্ত্তি ও ভয়ঙ্কর শক্তি বৰ্ণনা করিয়া তাঙ্গাকে ভীত করিবার চেষ্টা করিল ; কিন্তু তাহার চেষ্টা বিফল হইল। এদিকে রাজা যখন শুনিলেন, রাজকুমার নিজে কঙ্কলনে যাইতেছেন, তখন তিনি পাগলের ন্যায় রাজপুরী হইতে ছুটিয়া আসিয়া ভঁহাকে জড়াইয়া ধরিলেন । কহিলেন,- “তুমি রাজ্য অধিকারী, রাজার নন্দন, তুমি রিনা। রাজ্যভার কে করে বহন ? তুমি এক পুত্র মম, তুমিই সম্বল, তুমি গেলে আমার থাকিয়া কিবা ফল ?” উপস্থিত অমাত্যেরা কহিলেন,- “তুমি বুঝি বিনিময়ে জীবন তোমার একটা প্ৰজার প্রাণ চাহ রক্ষিবার ?