পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8 কৌতুক-কাহিনী। অরুণা কহিলেন,-“আমি বাহির হইবার এক উপায় করিয়াছি, আমি এই রশির গুচ্ছ আনিয়াছি, ইহাতে অত্যন্ত দীর্ঘ রশি আছে ; আমি ইহার এক মাথা ধরিয়া এইখানে বনের প্রান্তে দাড়াইয়া থাকিব, তুমি বঁ হাতে রশি ছাড়িতে ছাড়িতে যাও। বনের মধ্য স্থলে ষণ্ডাসুরের সম্মুখে উপস্থিত হইলে গুচ্ছ রাখিয়া দিয়া তাহার সহিত যুদ্ধ করিও। যুদ্ধ শেষ হইলে তুমি রশি ধরিয়া টানিও, তাহা হইলে আমি বুঝিব, তুমি জয়লাভ করিয়াছ এবং জীবিত আছ ; তুমিও রাশি ধরিয়া সহজে বন হইতে বাহির হইতে পরিবে ।” রাজকুমার কহিলেন,-“উত্তম, আমার হাতে গুচ্ছ দাও ।” তারপর তিনি অরুণার প্ৰেমময় মুখের প্রতি দৃষ্টি করিয়া নীরবে: বিদায় লইলেন ; তাহার চক্ষুদ্বয় যেন স্পষ্টই বলিল,— “যদি বেঁচে থাকি, দেখা হইবে। আবার নতুবা এ সর্বশেষ বিদায় আমার।” অরুণা কথা কহিলেন না। তাহার চক্ষু ছল ছল করিতেছিল। কিন্তু ভূবিজয় বুঝিলেন, তিনি যেন বলিতেছেন,— “বেঁচে যদি ফিৱে আসি রাখিব জীবন, নতুবা তোমারি পথে আমারো গমনা।” রাজপুত্ৰ বনমধ্যে প্রবেশ করিলেন। পায়ে সেই পাদুকা, হাতে বিশ্বকৰ্ম্ম-নিৰ্ম্মিত সেই তীক্ষ্ম অসি, বক্ষে ঢাল এবং বাম হন্তে রাশির গুচ্ছ । তিনি রশি ছাড়িতে ছাড়িতে চলিলেন । cम अडि आँखैअ दम