গড়িয়ে খায়নি” বলে আদিখ্যেতা করা যায়! এদিকে যতই আদব করা হোক না, ডিসিপ্লিন না মানিয়া স্বেচ্ছাস্বতন্ত্রতা করা এখানে চলে না, বরং বেশী কাছে থাকার জন্য ফাইফরমাস খাটা, মুখে মুখে কাহিনী, কিংবদন্তী, ইতিহাস, ভূগোল, পুরাণ, উপপুরাণ, কথা কাহিনী দুষ্পাঠ্য শোনা ও শেখা ইত্যাদিতে শরীর ও মনকে বেশী দুষ্পাঠ্য খাটাইতে হয়। সুজাতা এই বয়সেই বাংলা শেষ করিয়া দুষ্পাঠ্য দাদুর কাছে পাঠ দুষ্পাঠ্য কান দুষ্পাঠ্য কিছু মুখস্থও করিয়াছে। সকালে উঠিয়া দুষ্পাঠ্য হইয়া দেবদেবীর প্রণাম এবং ছোট ছোট নীতি-শ্লোক প্রত্যহ দাদুর কাছে বলিবার নিয়ম দাদু করিয়া দিলেন। এ ব্যবস্থা উত্তরকালে এ পরিবারে স্থায়ী হইয়া গিয়াছিল। সমস্ত ছেলেমেয়েরা একত্র হইয়া প্রত্যুষে পিতামহরূপী পিতামহকে বেড়িয়া (মাতামহও বটে), দেবশিশুদের মত অথবা কোন আরণ্যক মহর্ষীব সাক্ষাতে ঋষিবালকবর্গের সামগানের মত সমস্বরে বহু স্তব-স্তোত্র পাঠান্তে স্বদেশী সঙ্গীত করিয়া দেশের মঙ্গল কামনা জানাইয়া দিবসারম্ভ করিত। সে যুগে “বাজ রে শিঙ্গা বাজ এই রবে”, “কতকাল পরে বল ভারত রে”—ইত্যাদি গানই চালু ছিল। এব বহু পরবর্ত্তী কালে প্রধান স্থান অধিকার করিয়াছিল—
“অবনত ভারত চাহে তোমারে,
এস সুদর্শনধারী মুরারি!
নবীন তন্ত্রে, নবীন মন্ত্রে,
কর দীক্ষিত নিপীড়িত ভারত তোমারি।
মঙ্গল ভৈরব শঙ্খ নিনাদে,
বিচূর্ণ কর সব ভেদ বিবাদে,
নব আশে হিন্দুস্থান ধরুক নূতনতর তান,