পাতা:ক্রৌঞ্চ-মিথুনের মিলন-সেতু - অনুরূপা দেবী.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৯
আলােছায়া

এস হৃদি-শোণিতে মেদিনী রঞ্জিতে,
নববেশে ভীষণ অসিধারী,
এস ভারত-পাশ-নাশকারী।”

 এই অপূর্ব্ব উন্মাদনাকারী মহান সঙ্গীতের রচয়িতার পরিচয় জানা যায় নাই, তবে এখন অবশ্য এই স্বাধীন ভারতে না জানার আর কোন কারণ নাই।

 পিতা-পুত্র উভয়েই বলিতেন: ডাকের মত ডাক যদি সমস্ত ভারতবাসী মিলে ডাকতে পারে, তবে কি না এসে তিনি থাকতে পারবেন! নিশ্চয়ই ভারতের ‘পাপ’ নষ্ট করতে তাঁকে আসতেই হবে। তিনি নিজেই যে বলেছেন:

“যদা যদাহি ধর্ম্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারতঃ
অভ্যুত্থানমধর্ম্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহং
পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্
ধর্ম্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।”

 তাই তাঁকে আহ্বান-সঙ্গীত জানান এবাড়ীতে অর্দ্ধ শতাব্দীরও পূর্ব্ব হইতেই নিয়ন্ত্রিত করা হইয়াছিল, কল্কীরূপী যুগাবতারের ধ্যান প্রণাম মন্ত্রও প্রত্যহ শিশুচিত্ত হইতে পূজাভাবে উচ্চারিত হইত:

‘সজল জলদ দেহ বাত বেগৈকবাহো,
কবধৃত কব্বাল, সর্ব্বললাকৈকপালঃ
কলিকুল বনহন্তা সত্যধর্ম্ম প্রণেতা,
কলয়তি কুশলং বঃ কল্কীরূপংস্বভুপঃ’।

 দুই পুরুষ ধরিয়া পৃথীদেবই যে বাংলাদেশে সর্ব্বপ্রথম স্বদেশী মন্ত্রের বীজ বপন করেন, এ কথা আজ চাপা পড়িতে বসিয়াছে। ‘প্রোপাগাণ্ডার’ অভাবে হিন্দু সমাজ এখন ঘোর তামসিক আলস্যের