পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ । ওয়াটসের পলায়নের পর নবাব বুঝিলেন, ইংরেজের শান্তি কামনা মৌখিক মাত্র । তাই তিনি কালবিলম্ব না করিয়া ফরাসী লকে তাহার কাছে আসিতে পত্র লিখিলেন । যখন তিনি চরমূখে শুনিলেন, ইংরেজ সৈন্যসামন্ত লইয়। মুর্শিদাবাদ অভিমুখে অ{গমন করিতেছে, তখন তিনি আর বিলম্ব না করিয়া সৈন্যগণ সহ পলাশী অভিমুখে গমন করিবার উদ্যোগ করিতে লাগিলেন । কাইব, উত্তরাভিমুখে যাত্রা করিবার পূৰ্ব্বে হুগলীর নবনিযুক্ত ফৌজদার সেখ আমীরউল্লাকে ভয় দেখাইয়া পত্র লিখিলেন যে “আমি মুর্শিদাবাদে যাইতেছি, তুমি হুগলীতে চুপ চাপ করিয়৷ থাকিলে তোমাকে কেহ কিছু বলিবে না। যদি তুমি একটু এদিক ওদিক কর, তাহ হইলে তোমার সহর ধ্বংস করিয়া ফেলাইব । ইংরেজকে বন্ধুরূপে গ্রহণ কর । তাহ হইলে তাহারাও তোমাকে সেইরূপ দেখিবে। তুমি কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিও না, নবাবের সহিত আমাদের মনোমালিন্য আপোষে অথবা যুদ্ধ করিয়৷ যে পর্য্যন্ত না মিটমাট হয় সে সময় পর্য্যন্ত তুমি অপেক্ষ কর।” পাছে ফৌজদার ইংরেজদের সংবাদ আদান প্রদানের কোনরূপ বাধা প্রদান করে তাহার প্রতিকারের জন্য “বীজওয়াটার” নামক জাহাজ হুগলীর সম্মুখে নোঙ্গর ফেলিয়া অবস্থান করে। সেক সাহেবের ইংরেজ ভয়ে বুদ্ধিভ্রংশ হইয়াছিল! ༣༽: } তিনি ক্লাইবের মন্ত্রে মুগ্ধ হইয়া নিশ্চেষ্ট ভাবে অবস্থান করিমg,