পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>S)8 ক্লাইব চরিত। নবাবের সৈন্ত যদি যুদ্ধ করিত, তাহ হইলে কি ফল এইরূপ হইত ? দুলভরাম ও মীরজাফর একটাও গুলি ছোড়ে নাই, বা একটও মুষ্টি উত্তোলন করে নাই সুতরাং মানুষ,মরিবে কোথ হইতে । মীরজাফরের পত্রে অবগত হওয়া যায় যে অপরাহ্ল পর্য্যন্ত নবাব সৈন্সের মৃত্যু সংখ্যা ১৫২০ জনের বেশী হয় নাই । ইংরেজ বলেন “নবাব পক্ষে পাঁচশত লোক নষ্ট হইয়াছিল।" ইহ। যুদ্ধে নষ্ট হয় নাই। পলায়ন কালে বিশৃঙ্খলার মধ্যে পেষীপেষিতে নষ্ট হইয়। থাকিবে । পশ্চাৎ অনুধাবন কালে ইংরেজের গুলিতেও যে জন কয়েক মরে নাই এরূপ নহে । যদি স্বীকার করিয়া লওয়া যায় যে এই “খেলা ঘরের লড়াই” এ নবাবের যে ১৫ হাজার সৈন্য ইংরেজের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়াছিল তাহদের মধ্যেই পঞ্চশত সৈন্ত পঞ্চতৃলাভ করিয়া ছিল। ইহাতে আমরা দেখিতে পাই যে শতকরা ৩জন মাত্র লোক নবাব পক্ষে নিহত হইয়াছিল । ইহা পঞ্চাশ হাজারের হিসাব নহে, তাহ হইলে হোমিওপ্যাথিক ক্রমে এই মুতু্য সংখ্যা শত করা অনেক হ্রাস হইয়া যাইবে । এই অবনত জাতির সহিত, অবতোলুখ জাতির যুদ্ধের সহিত তুলনা করিলে দেখিতে পাইবেন, সেই সকল জাতির হতাহত ও বনদীর সংখ্যা শতকর। কিরূপ হারে নিম্পন্ন হইয়াছে । এরূপ ভাবে তুলনা করিলে পাঠক অনায়াগে বুঝিতে পরিবেন যে জাতীয় জীবনী শক্তির উপর জাতীয় গেীরব কিরূপভাবে নির্ভর করিয়া থাকে। এইরূপে রোগ নির্ণয় করিয়া চিকিৎসক জাতীয় ব্যাধির চিকিৎসা করিয়া থাকেন। সৎকার্য্যের জন্য মুতু্যর আকাজক্ষায় বুঝা যায় যে মৃতপ্রায় জার্তিতে জীবনী শক্তির সঞ্চার হইতেছে।