পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.হাড়ির মুখ পাতায় বাধা । ১৭৩ র্তাহার। এক্ষণে জমিদার হইলেন। জমিদার হইলেন বটে, কিন্তু জমিদারীর সীমা সরহদ বা রাজস্ব সংগ্ৰহ বিষয়ক জ্ঞান তাহীদের কিছুই ছিল না। এজন্য র্তাহাদিগকে প্রথমে একটু বিব্রত হইতে হইয়াছিল । অল্পদিনের মধ্যে এ দেশের প্রাচীন লোক নিযুক্ত করিয়া এই বিভ্রাট হইতে মুক্তিলাভ করিয়াছিলেন। ইংরেজের যে সৈন্যবল ছিল, তাহ। তাহণদের কলিকাতার কুঠি বা তাহদের বাণিজ্য রক্ষায় পর্য্যপ্ত হইলে বাঙ্গল রক্ষার জন্য ত{হা কখনই পর্যাপ্ত হইতে পারে না। এজন্যও তাহাদিগকে আকুলিত হইতে হইয়াছিল। বুদ্ধিমান ব্যক্তি যেরূপ হাড়ির মুখ পাতায় বাধিয়া সকলের বুদ্ধি বিপর্য্যয় করিয়া থাকে, ইংরেজও সেইরূপ নিজেদের ভিতরের বল গোপন রাখিয়া বাহিরে দেণদণ্ড প্রতাপ ব্যক্ত কুরিয়া সকলকে সম্মোহিত করিলেন । এখানে আমরা ইংরেজের বিলাতের কর্তাদের বুদ্ধির পরিচয় একটু প্রদান করিব। তাহার এ সময় তাহদের বাঙ্গালার কুটার কার্য্য নিৰ্ব্বাহ করিবার জন্য যে সকল উপদেশ প্রদান করিয়াছিলেন, তাহাতে তাহাদের অদুরদর্শিতা এবং তাহাদের কৰ্ম্মচারী বিষয়ক জ্ঞানেরও যথেষ্ট অভাব পরিলক্ষিত হইয়া থাকে। তাহারা একখানি পত্রে ৫ জন মিলিত হইয়া একটা সভা গঠন করিতে আদেশ করেন । ক্লাইব এই সভার অধিপতিরূপে নিৰ্ব্বাচিত হন। অপর একখানি পত্রে - তাহার ড্রেককে কৰ্ম্মচু্যত করেন, এবং দশজন মিলিয়া সভা করিতে আদেশ করেন । চারজন বড় সাহেবের মধ্যে প্রত্যেকে তিনমাস করিয়া' পৰ্য্যায়ক্রমে এই সভায় সভাপতি হইবার জন্য আদিষ্ট হন এই