পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8 ক্লাইব চরিত । নিজেদের অধিকার বিস্তারের অভিলাষ করেন । এই উদ্দেশ্যে রাজ্যভ্রষ্ট মহম্মদ আলীর সাহায্য করিতে ইংরেজ প্রস্তুত হইলেন, এবং ক্লাইবকে আর্কট অভিমূখে প্রেরণ করিয়া নিজেদের শক্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ করেন। এ বিষয় বলিবার পূৰ্ব্বে, সে সময়ের রাজনৈতিক অবস্থার বর্ণনা না করিলে পাঠকের এ সময়ের অবস্থা বুঝিতে অসুবিধা হইবে, এজন্য সঙ্ক্ষেপে তাত৷ বর্ণিত হইল । আরাঞ্জেবের মৃত্যুর পর তাহার প্রধান প্রধান সুবেদারগণ স্বাধীনভাবে কার্য্য করিতে আরম্ভ করেন । তাহার নাম মাত্র দিল্লীর অধীনতা স্বীকার করিতেন । এই সকল রাজদ্রোহী সুবেদারদিগের মধ্যে, দক্ষিণাত্যের সুবেদার নিজামউলমুল্ক এক জন বিশেষ ক্ষমতাশালী ব্যক্তি ছিলেন । আরাঞ্জেব তাহাকে যথেষ্ট দয়া ও স্নেহ করিতেন । বল বাহুল্য, যে তিনি প্রথম সুযোগে স্বাধীনভাবে কার্যা করিতে বিরত হন নাই । ১৭১০ খৃঃ কর্ণাটের নবাব সাদতউল্লা, অপুলক অবস্থায় পঞ্চ লাভ করেন। তাহার দুই জন ভ্রাতৃপুত্র ছিল । জ্যেষ্ঠ, দোস্ত আলি কর্ণাটসিংহাসনে আরূঢ় হন । কনিষ্ঠ ভিলোর দুর্গের শাসনকৰ্ত্ত। নিযুক্ত হন। দোস্ত আলির দুইটি কন্যা ছিল একটিকে চান্দ। সাহেব নামক একজন অধ্যবসায়ী যুবকের হস্তে, অপরটি ভিলোরের শাসনকৰ্ত্ত। অর্থাৎ তাহার ভ্রাতুপুলের হস্তে অর্পণ করেন। ও থমোক্ত জামাত। অর্থাৎ চান্দা সাহেব অল্প সময়ের মধ্যে শ্বশুরের দেওয়ান পদে প্রতিষ্ঠিত হন । ত্রিচনাপল্লীর হিন্দু রাজা কর্ণাট নবাবের একজন সামন্ত নৃপতি । ১৭৩৬ খৃঃ এখানকার রাজা মানবলীলা সস্বরণ করেন । এই সুযোগে দোস্ত আলি র্তাহার অন্যতম পুত্র সফদর আলির সহিত চান্দ সাহেবকে রাণীর