বজবজের যুদ্ধ। 8%
==
- -یـبــتے ه-----ایس-ایس - ক্লাইব ২৫ শে ডিসেম্বর মাণিকচাদকে প্রত্যুত্তর লেখেন, “আপনি নবাবকে যে ভাবে আমাকে পত্র লিখিতে কহিয়াছেন, বর্তমান সময়ে আমি সেরূপ পত্র লিখিতে অপারগ। আমি আর নবাবের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করি না। তিনি আমাদের যে অনিষ্ট করিয়াছেন আমি বাহুবলে তাহার প্রতি কণর সাধন করিব।” ইত্যাদি। ২৭শে ডিসেম্বর ইংরেজদের কলা সেপাইরা স্থলপথে কলিকাতা অভিমুখে যাত্রা করিল, অন্যান্ত সৈন্য জাহাজে করিয়৷ অগ্রসর হইতে লাগিল । ক্লাইবের ইচ্ছা ছিল সৈন্যগণকে স্থলপথে না পাঠাইয়। জাহাজে লইয়। যাইবেন । এই বিষয় লইয়। ওয়াটসনের সহিত র্তাহার একটু মনোমালিন্ত উপস্থিত হয় । ক্লাইবকে অগত্য। তাহ। নীরবে সহ করিতে হইয়াছিল । ২৮শে ইংরেজবাহিনী মায়াপুরে উপস্থিত হয় । এই স্থানে একদল গোরা, কাল। সেপাইসহ মিলিত হইয়া স্থলপথে বজবজ অভিমুখে যাত্র করে । ১৬ ঘণ্টার উৎকট পরিশ্রমের পর ইংরেজের সৈন্ত দিব ৮টার সময় বজবজ দুর্গের ১ ক্রোশ দূরে উপস্থিত হয় । মাণিকচাদ দুই হাজার পদাতিক ও অশ্বারোহী সৈন্ত ( Ivis বলেন ৩ হাজার ) লইয়। ইংরেজকে আক্রমণ করিয়া ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিলেন । যথা সময়ে সাহায্য না পাইলে এ যাত্রায় ক্লাইবকে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হইতে হইত। বাঙ্গালীরা শক্ৰ আক্রমণকালে প্রাণের প্রতি কিছুমাত্র মায়। দেখায় নাই, উপযুক্ত নায়ক কর্তৃক পরিচালিত হইলে তাহারা বজবজ ক্ষেত্রে বিজয় লাভ করিতে পারিত, সে বিষয়ে অনুমাত্ৰ সন্দেহ নাই। এই অৰ্দ্ধ ঘণ্টার যুদ্ধে ক্লাইব পরিচালিত সৈন্যের ১ জন পদস্থ এবং ৯ জন গোর মৃত, ৮ জন গোর আহত হইয়াছিল। ক্লাইব বলেন,
