পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । () — ইংরেজের শূন্যপ্রায় কলিকাতা কিরূপে হস্তগত করেন, তাহ। পূৰ্ব্বের পরিচ্ছেদে বর্ণিত হইয়াছে। কলিকাতা হস্তগত করিবার পর নানাপ্রকার চিন্ত আসিয়। ইংরেজদিগকে বিশেষ রূপে অধিকার করিল । দক্ষিণাত্যে ফরাসীর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া ধীরে ধীরে যেরূপ নিজেদের প্রভুত্ব সংস্থাপন করেন, সেইরূপ ইংরেজও বাঙ্গলার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়৷ একটা বিপ্লব আনয়ন করিতে সচেষ্ট হন । এই অভিপ্রায়ে ইংরেজের জলপথে ঢাকায় গিয়া নগর আক্রমণ এবং সরফরাজ খার পুত্ৰগণকে অগ্রণী করিয়া একট দল বাধিতে ইচ্ছুক হন । এ মন্ত্রণ যুক্তিসিদ্ধ না হওয়াতে হুগলী আক্রমণ করিয়া নবাবকে বিভীষিকাগ্রস্ত করিতে ইংরেজের মনন করেন । ইচ্ছার সহিত কার্য্য আরম্ভ হইল। ৪ঠা জানুয়ারী কিলপাটিক ১৩০ জন গোর এবং ৩ শত কাল। সিপাই লইয়। হুগলী আক্রমণের জন্য বহির্গত হইলেন । ঘুঘুড়ির চড়ায় একখানা জাহাজ আটকিয় যাওয়াতে তাহাদের গমন করিতে একটু বিলম্ব হয়। ইংরেজ মাঝি মাল্লাদের কলিকাতার উত্তরে গঙ্গায় যাওয়া আস না থাকায়, গঙ্গার গতি ও চড়ার বিষয় তাহারা অনভিজ্ঞ ছিলেন। বরাহনগরের ডচ কর্তৃপক্ষের কাছে যখন তাহার। নম্র কথায় একজন পথ প্রদর্শক আড়াকটি পাইলেন না, তখন র্তাহার। জোর করিয়৷ একজন ডচ নাবিককে জাহাজ হইতে ধরিয়া লইয়৷ যান !"