পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুগলী আক্রমণ । &6. পরিত্যাগ করিয়া গমন করিতে বাধ্য হইয়াছিল। এই যুদ্ধে নবাব সৈন্যের কিছু ক্ষতি হইয়াছিল বলিয়া বোধ হয় না। ইংরেজ নবাব সৈন্যের ক্ষতির কথা কিছু উল্লেখ করেন নাই। স্থলপথে ৬ জন গোরা হত এবং ১৮ জন আহত হইয়াছিল । এতদ্ব্যতীত অনেক সিপাই আহত হইয়াছিল । হুগলী গ্রহণ করিয়া ইংরেজের কেল্লার পাশ্ববৰ্ত্তী কতকগুলি খোড়ে। ঘরে আগুন লাগাইয়। আপনাদের বলবীর্য্যের বিষয় বাঙ্গালীদের ভিতর প্রতিপন্ন করে। হুগলীতে এইরূপ দৌরাত্ম্য ও প্রায় লক্ষটাক লুণ্ঠন করিয়া তাহার। নিরক্ত হইল না। বান্দাল ও তাহার নিকটবর্তী স্থানে গমন এবং তৃণনিৰ্ম্মিত গৃহে অগ্নিপ্রদান করিয়া তাহার আনন্দ অনুভব করে । নন্দকুমার তাহাদিগকে সমুচিত শিক্ষা দিবার জন্য সৈন্য প্রেরণ করিয়াছিলেন । নবাবসৈন্যের সহিত ইংরেজদিগের সামান্য সংঘর্ষণ হইয়াছিল । এই সংঘর্ষণের ফলে ১জন গোরা খালাসী ও কতকগুলি সিপাই নিহত এবং বহুসংখ্যক আহত হইয়াছিল । নন্দকুমার ইংরেজকে দণ্ড দিতে পশ্চাৎপদ হন নাই।’ তিনি স্বীয় প্রভুর স্বত্ব সংরক্ষণ জন্য সাধ্যানুসারে চেষ্টা করিয়াছিলেন। ইংরেজ দেখিলেন, ফৌজদার নন্দকুমার সৈন্যসহ এ প্রদেশে অবস্থান করিতেছেন, সুতরাং তাহাদের অত্যাচার এ অঞ্চলে নিৰ্ব্বিঘ্নে সম্পন্ন হওয়া সহজ নহে। তাহারা গঙ্গার অপর পারে দরিদ্রদের অরক্ষিত কুটীর সকলে অগ্নি সংযোগ করিয়া আপনাদের দোর্দণ্ড প্রতাপ প্রকাশ করে । মেজর কিলপাটিক হুগলী অঞ্চলে ঘোরতর নিষ্ঠুরতা ও বৰ্ব্বরতা প্রকাশ করিয়া কলিকাতায় প্রত্যাগমন করিলেন। o এই সময় ডচেদের সহিত ইংরেজদের মনোমালিন্য উপস্থিতু