পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\)ა ক্লাইব চরিত । জন্য ওয়ালস্ ও ফ্রাফ টন উভয়ে প্রেরিত হন । তথায় তাহার দেখিলেন নবাব নাই—তিনি কলিকাতায় গমন করিয়াছেন । কলিকাতাতেই সাহেবদ্বয় সায়ংকালে নবাবের" কাছে গমন করেন । তাহারা ভাল করিয়া নবাবের শিবির সংস্থান প্রভৃতি দেখিয়া নিজের দলে উপস্থিত হইল। ৫ই ফেব্রুয়ারী অতি প্রত্যুষে ক্লাইব নবাবের শিবির আক্রমণ করে। ফরাসীরা বলেন নবাবের কোন দেওয়ান ইংরেজ দূতের মনোগত ভাব বড় ভাল নহে বিবেচনা করিয়া, তিনি নবাবকে একটু দূরে অপর শিবিরে অবস্থান করিতে নিবেদন করেন । ইংরেজদ্বয় যে র্তাবুতে নবাবকে অবস্থান করিতে দেখিয়াছিল। ঠিক সেই তাবুই তাহারা আক্রমণ করিল। আগের দিন সন্ধ্যার সময় যাহার শান্তির প্রস্তাব করিয়াছিল, তাহারা রাত্রি প্রভাত হইবার পূৰ্ব্বেই অন্ধকার ও কুজ্বাটিকার সাহায্যে নবাবকে আক্রমণ করিল। নবাবের সৈত্যের প্রথমটা বিমূঢ় হইয় পড়ে। তারপর সামলাইয়। ইংরাজদিগকে বেশ দৃঢ়তার সহিত আক্রমণ করিল। পারসীক অশ্বারোহীরা ইংরেজকে দপের সহিত অনুধাবন করিল। এই যুদ্ধে ইংরেজদের সাদা কালো উভয় মিলিয়া ২ শতেরও অধিক নিহত ও আহত হয় । ২ টা কণমানও নবাবের হস্তগত হয় । ক্লাইব এই দুঃসাহসিকতায় কোনরূপে আসন্ন ধ্বংস হইতে রক্ষা পাইলেন। মিরজাফর প্রভৃতি নিমক হারাম ভৃত্যগণ যদি একটু ধৰ্ম্মের দিকে, রাজার দিকে, বা ভবিষ্যতের দিকে তাকাইয়া কার্য্য করিত, তাহা হইলে আর ইংরেজদিগকে প্রাণ লইয়। যাইতে হইত না । সদলে ইংরেজকুল ধ্বংস হইত। নবাব দেখিলেন এরূপ বিষকৃন্ত পয়োমুখ