পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লর কাহিনী । (16. নবাব মুর্শিদাবাদে উপস্থিত হইলে,ফরাসীদের সয়দাবাদ কুটার বড় সাহেব মুসে ল, দরবারে উপস্থিত হইয়। চন্দননগরের সাহায্যের জন্য নবরকে পীড়ন করিতে লাগিলেন । নবাব তাহাকে নিভৃত কক্ষে গমন করিতে কহিয়। স্বয়ং তথায় উপস্থিত হইয়। নানা প্রকার প্রশ্ন করিতে লাগিলেন । তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন * “বাঙ্গালায় এ সময় ইংরাজ ও র্ত হাদের কত সৈন্য আছে, তাহদের জাহাজই বা কেন আসিতেছে না ? তাহণদের সহিত বিবাদ থাকিলেও গত যুদ্ধে কেন তাতার তাহাকে সাহায্য করেন নাই । শুনিতে পাই মুসে বুসি উড়িষ্যার নিকটে—কেন তিনি সৈন্যসহ বাঙ্গলায় প্রবেশ করিতেছেন না ? এই সকল কথার পর নবাব ইংরেজদের সম্বন্ধে অনেক কথ। কতিলেন । ইহাতে আমার বোধ হইল ইংরেজসহ তাহার সন্ধি স্থায়ী হইবে না । একথা কহিবার সময় নবাবের চক্ষ দিয়া যেন অগ্নিশিখা বাহির হইতে লাগিল । তারপর তিনি চন্দননগর সম্বন্ধে ইংরেজদের মনোগত ভাব জিজ্ঞাসা করিলেন এবং আবশ্যক মত সৈত্য সাহায্য করিতে, তিনি প্রতিশ্রত হইলেন । এই অবকাশে রেনল যে সকল বিষয়ের প্রার্থনা করিয়াছিলেন, ল সে সকল বিষয় উত্থাপন করিলেন । নবাব বলিলেন, তিন দিনের মধ্যে পাচ হাজার অশ্বারোহী ও বন্দুকধারী গমন করিবার জন্য প্রস্তুত তইবে । তিনি আমাকে সিপাহি সংগ্ৰহ করিতে আদেশ করিলেন এবং এজন্য যে টাকার দরকার হইবে তাহ। তিনি প্রদান করিবেন বলিলেন । মুসে রেনলকে তিনি যে দুই লক্ষ টাকা দিবেন বলিয়াছেন তাহ। আমাকে দিতে কহিলাম, প্রতু্যত্তরে নবাব কহিলেন, তার জন্য লর গ্রন্থ |