পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ബ്ബ ৭৬ ক্লাইব চরিত। mela --க க - - কোন ভাবনা নাই । এবিষয় লিখিত অনুমতি প্রার্থনা করায় তিনি বলিলেন শীঘ্রই পাইবে। এর মধ্যে সংবাদ আসিল, সন্ধির পক্ষে কোন বাধা নাই সুতরাং সৈন্য সাহায্যেরও দরকার নাই । নবাব ৫ হাজার লোককে ছাড়াইয়া দিলেন । তাহারা মাহিনীর জন্য অত্যন্ত তাগাদ করিতেছিল। হত্যবসরে সংবাদ আসিল সমস্ত প্রস্তাব ভাঙ্গিয়া গিয়াছে । এডমিরেল আপত্তি উঠাইলেন যে চন্দননগরের কৰ্ম্মচারীদের এরূপ সন্ধি করিবার ক্ষমতাই নাই । কিন্তু ভিতরকার কথ। এই যে, ইংরেজ যে জাহাজের প্রতীক্ষা করিতেছিল, সেই জাহাজের গঙ্গার মুখে আগমন কথা তাহারা অবগত হয় । কাযেই তা হাদের মতের পরিবর্তন হইল, ইংরেজসৈন্য চন্দনগরাভিমুখে অগ্রসর হইল । জাহাজ সকলও তদভিমুখে প্রস্তুত হইল, আমিও নবাবের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলাম। আমি নবাবের সহিত প্রধান দেওয়ান মোহনলালকে দুই বার দেখিতে গিয়াছিলাম । তাতার যতই কেন দোষ থাকুক না কেন, তিনিই একমাত্র নবাবের অনুগত ছিলেন । তাহার দৃঢ়ত ছিল । তিনি বুঝিয়াছিলেন নবাবের পতনে র্তাহার পতন অনিবাৰ্য্য । তিনিও তাহার প্রভুর ন্যায় অনেকের বিরাগভাজন হইয়াছিলেন । তিনি শেঠেদের পরম শক্র ছিলেন । আমার বিশ্বাস তিনি যদি স্বাধীনভাবে কাৰ্য্য করিতে পাইতেন, তাহা হইলে তিনি শেঠেদের চত্রগন্ত সহজে হইতে দিতেন না । দুরদৃষ্টক্রমে এই বিপদের সময় তিনি অত্যন্ত কল্প হইয় পড়েন । এসময় তাহার মুখ থেকে কথা বাহির করা সহজ কথা নহে । র্তাহাকে বিষ খাওয়াইয়াছে বলিয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়। সিরাজ এই সময় তাহার একমাত্র সহায় হইতেও বঞ্চিত হন।”