পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরন শাস্ত্রী.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७७8* ক্লাইব চরিত । বেশী সৈন্য লইয়। উত্তরে গমন করিতে বাধা হন । তাহা হইলে সেই অবকাশে আপনি অক্লেশে নগর ও নবাবের ধন সম্পত্তি হস্তগত করিতে পরিবেন । ” একই তারিখের ক্লাইব ও ওয়াটসের পত্ৰ দেখিলেন। ক্লাইব “মোহনলালকে লিখিলেন ‘নবাবের হইয়া যুদ্ধ করিতে আমার বড় ইচ্ছ।” এইরূপ লিখিয়া নবাব গতি-প্ৰাণ মোহনলালকে মুগ্ধ করিতে চেষ্টা করিলেন। অপর পক্ষে মুর্শিদাবাদ আক্রমণ ও ধনরত্র হস্তগত করিবার স্বপ্ন দেখিতে লাগিলেন । রাজদ্রোহী জগৎশেঠ এবং বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর প্রভৃতি নবাব কৰ্ম্মচারী যদি ইংরাজের সহিত মিলিত না হইত, তাহ। হইলে ইংরাজ কখনই নবাবকে আক্রমণ করিতে সাহসী হইত। না । ইহারা নিজেদের স্বাৰ্থসিদ্ধির জন্য ইংরাজকে বুঝাইল, নবাব প্ৰথম সুযোগে সন্ধি বন্ধন ছিন্ন করিয়া তাহাদিগকে সমুচিত শিক্ষা প্ৰদান করিবেন । ইংরাজ বুঝিল দরবারের যেরূপ অবস্থা ইহাতে শীঘ্রই একটা পরিবর্তন উপস্থিত হইবে। অতএব এই সময় হইতেই ভাবী নবাবের সহিত মিলিত হইয়া কাৰ্য্য করিলে ভবিষ্যতের সুবিধা হইবে ? এই ভাবিয়া ইংরাজ, নবাব হইবার যাহার সম্ভাবনা বেশী তাহার সাহিতই বিশেষ ঘনিষ্ঠতা সংস্থাপন করেন । এই সময় প্ৰভু ভক্ত মোহনলাল আরোগ্য লাভ করিয়া দরবারে আগমন করেন। সিরাজ, তাহার আমির ওমরাহগণকে বিশেষ সন্মানের সহিত মোহনলালকে T অভিবাদন করিতে আদেশ করেন। গর্বোন্নত সেনাপতি মিরজাফর, আলিবর্দীর । ভগিনীপতি, সিরাজের এ আদেশে অত্যন্ত বিরক্ত হইলেন। পেক্রিস নামক তঁহার একজন অনুগত ব্যক্তিকে ওয়াটসের কাছে