পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরন শাস্ত্রী.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ কাইব চরিত را ه د মীরজাফরকে বলিবে, তিনি যেন ভয় না করেন। যুদ্ধে কখন যাহারা পিঠ দেখায় নাই আমি এরূপ পাঁচ হাজার সৈন্য লইয়া যাইতেছি। তিনি যদি তাহাকে ধরিতে না পারেন, আমরা তাহাকে এদেশ হইতে তাড়াইয়া দিব। র্তাহাকে আশ্বাস দিবে যে আমরা দিন রাত পথ চলিয়া তাহার কাছে উপস্থিত হইব । যে পৰ্যন্ত একজনও আমার লোক থাকিবে সে পর্যন্ত আমি তাহার পাশ্বে দাড়াইয়া থাকিব । আমার গাড়ি টানা বলদের বড়ই অভাব আমার, গমন কথা শুনিলেই তুমি যে কোন রূপে কতকগুলা পাঠাইবে।” মীরজাফর ইংরাজের মিলনের সহিত উমিচাদের কিছু মত পরিবর্তন হইল। ইয়ার লতিফ নবাব হইলে উমিচাঁদের পক্ষে অনেকটা ভাল হইত। সে উহার কাছে কৃতজ্ঞতা-পাশে আবদ্ধ থাকি তা । মীরজাফরের কাছে সেরূপ হইবার সম্ভাবনা নাই, কাজেই উমিচাদের হৃদয়ে আঘাত লাগিল। মধ্য হইতে উমিচান্দ প্রচুর পরিমাণে টাকা হস্তগত করিবে, মীরজাফরেরও ইহা আন্তরিক বাসনা নহে। ষড়যন্ত্র যেরূপ ভাবে অগ্রসর হইয়াছে, এরূপ সময়ে উমিচান্দকে বাদ দিয়া কাৰ্য্য করাও শ্রেয়ঙ্কর নহে। উমিচাঁদ এই আসন্ন সময়ে ত্ৰিশ লক্ষ টাকা এবং নবাবের যত ধন আছে তাহার উপর শতকরা ৫ ভাগ তিনি দাওয়া করিয়া বসিলেন। যদি তাহাকে তাহার এই প্ৰস্তাব অনুসারে না দেওয়া হয়, তাহা হইলে তিনি এই ষড়যন্ত্রের কথা নবাবের কর্ণগোচর করিবেন। উমিচাদের টাকার প্রস্তাবে ক্লাইব প্রভৃতি তাহার উপর অত্যন্ত বিরক্ত হইল, গায়ে হাত বুলাইয়৷ কাৰ্য উদ্ধারের জন্য ওয়াটসকে পত্রে লিখিলেন যে,-“উমির্চাদের একটু ভাল