পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরন শাস্ত্রী.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ । Σ Sιδ, একমাত্ৰ লক্ষ হইয়া থাকে। নিজের দেশের ও ধৰ্ম্মের সর্বনাশ সাধিত হউক, তাহাতে কিছুই আইসে যায় না, নিজের স্বার্থের যাহাতে না কিছুমাত্ৰ ব্যাঘাত হয় সেই দিকেই দৃষ্টি সতত পতিত থাকে । অত্যন্ত বিলাস ও অজ্ঞান মানুষকে মৃত্যুভয়ে বিভীষিক গ্ৰস্ত করিয়া থাকে। কলিকাতা, চন্দননগর এবং পলাসী যুদ্ধের হতাহতের তালিকা দেখিলে আমরা বুঝিতে পারি যে ইংরাজ ও ফরাসী স্বদেশের গৌরব বুদ্ধির জন্য নিজেদের সুনামের উপর যাহাতে কোনরূপ কলঙ্ক পতিত না হয় সে জন্য, তাহারা অমানবদনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিয়াছিল। জয় পরাজয় দেখিয়া যিনি শত্রুর ধাতু পরীক্ষা করিয়া থাকেন। তিনি কখনই প্ৰাক্ত নামে অভিহিত হইতে পারেন না । কিন্তু যিনি শত্রুর উদ্যম- ক্লেশ সহিষ্ণুতা নিঃস্বার্থপরতা এবং সৰ্ব্বাপেক্ষ। প্রিয়তার প্রাণের প্রতি নিৰ্ম্মমতা প্রভৃতি গুণরাজা লক্ষ করিয়া ধাতু পরীক্ষা করেন তিনিই যথার্থ পরীক্ষক। তাই ফরাসী পরাজিত হইয়াও ঘুণিত হয় নাই । বরং পূজিত হইয়াছে ! কলিকাতা যুদ্ধে নবাব সৈন্য মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিতে পশ্চাৎপদ হয় নাই ! নায়কেরা যদি প্ৰাণ খুলিয়া কৰ্ত্তব্য বুঝিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হইত,তাহা হইলে কলিকাতাতেই সমস্ত কাৰ্য্য সম্পন্ন হইত। কলিকাতায় সিরাজের সেনানায়কের ততটা দূষিত হয় নাই। তাই ইংরাজের অতি লোকক্ষয় হইয়াছিল। অপর পক্ষে পলাসীতে ইংরাজের লোকক্ষয় খুব কম হইয়াছিল। নবাব পক্ষের শিখিলতাই তাহার কারণ ৷ পলাসীতে ৪জন গোর। হত। ৯জন আহত আর ২ জন নিরুদ্দেশ মোট ১৫ জন গোরা । হতাহত হইয়াছিল। ইংরাজের কালার হিসাব দেখুন-কাল