একাদশ পরিচ্ছেদ । Σ Φώ
- - Kremljah Aixe-sur-w
সভ্যতা আমাদের দেশে প্ৰবেশ অধিকার লাভ করিয়াছে । এসভ্যতা রোমক সভ্যতাকে অনুকরণ করিয়াছে। রোমক সভ্যতা যাহাকে অনুকরণ করিয়াছিল । সে সভ্যতা বহুদিন হইল জগৎ হইতে অন্তহিত হইয়াছে। বৰ্ত্তমান পাশ্চাত্য সভ্যতা যে অচির কাল মধ্যে ধ্বংস প্রাপ্ত হইবে, তাহার লক্ষণ সকল পাশ্চাত্য সমাজে স্পষ্ট করিয়া প্রকাশ পাইয়াছে। দুঃখের বিষয় এই যে শত ম্যাকসিম কামান ইহাকে কোন রূপে রক্ষা করিতে সমর্থ হইবেন। } ব্যভিচার ও মদ্য, পাশ্চাত্য সমাজকে জর্জরীভূত করিয়া ফেলিতেছে । ইহার পরিণাম অত্যন্ত শোচনীয় । সাধারণের ব্যয়ে কপটতা, স্বার্থপরতা, আত্মম্ভরিতা, উচ্ছ স্থলতা প্রভৃতি শিক্ষাকে পাশ্চাত্য শিক্ষা বলিলে বোধ হয় কোন রূপ দুষণীয় ठूशू ब्ा । আমাদের সম্মুখে ক'ত জাতির উত্থান এবং কত জাতির পতন হইল, এবং হইবে কিন্তু আমাদের সভ্যতা আমাদিগকে মাতার ন্যায় রক্ষা করিয়া আসিতেছেন ও করিবেন । হিন্দুর সকল বিষয়ই সুশৃঙ্খলাবদ্ধ। অসন, বসন, শয়ন কোন বিষয়েই হিন্দু উচ্ছঙ্খল হইতে পারেন । রক্তশুদ্ধির কথা আজ কাল ইয়ুরোপ বুঝিবার চেষ্টা করিতেছে । রক্তের শুদ্ধতা সম্পাদিত না হইলে দেশে অধিক সংখ্যক মুক, বধির, কুঠি, উন্মাদ এবং দুর্দান্ত প্রকৃতির লোক জন্মগ্রহণ করে ! ইয়ুরোপীয় রাজপরিবার এই এবিষয়ের অতি উজ্জ্বল উদাহরণ । চাকচিক্যময়ী পাশ্চাত্য সভ্যতা আমাদের সর্বনাশ সাধনের উপক্ৰম করিয়াছে । আমাদিগকে এরূপ মস্ত্ৰমুগ্ধ প্ৰায় করিয়াছে যে আমরা নিজেকে সৰ্ব্বতোভাবে অসভ্য, অক্ষম, অজ্ঞ বিবেচনা করিয়া থাকি। এ মোহ না ঘুচিলে
