পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৩১)

ভাবিতাম বীরশ্রেষ্ঠ চলিগেলা রোমে।
হাসি মুখে শশধর ভাসিলে গগনে,
ভাবিতাম আসিতেছে এণ্টনি আবার,
প্রণয়-পীযূসে হায়! যুড়াতে আমায়।
অস্ত গেলে নিশানাথ প্রাণনাথ গেলা
ছাড়ি ভাবিতাম মনে।
“এই রূপে সখি!
গেল যুগ, গেল বর্ষ, কিম্বা মাস, দিন,
নাহি জানি। এক দিন তাপিত হৃদয়
যুড়াইতে জ্যোৎস্নায়, শুয়েছি নিশীথে
সুকোমল ‘কৌচ’-অঙ্কে, ছাদের উপরে।
সেই দিন দূত-মুখে, নব পরিণয়
এণ্টনির, নারী-রত্ন ‘অগস্তার’[১] সনে
শুনিয়াছিলাম;—তরুভ্রষ্ট হায়! যেই
বিশুষ্ক বল্লরী, কেন রে দারুণ বিধি!
হেন বজ্রাঘাত পুনঃ তাহার উপরে?

  1. ‘অগস্তা’—এণ্টনির দ্বিতীয়া পত্নী। এণ্টনি মিশর হইতে প্রত্যাবর্ত্তন করিয়া যাইয়া ‘অগস্তাস সিজারের’ সঙ্গে বন্ধুতা স্থাপন করিবার উদ্দেশে তাঁহার ভগ্নী ‘অগস্তাকে’ বিবাহ করিয়াছিলেন।