পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৩৯)

বলিলা আমারে নাথ! হাসিয়া হাসিয়া—
‘মিশরে বসিয়া প্রিয়ে! দেখ মুহূর্ত্তেকে
বালকের ক্রীড়া-সাধ আসি মিটাইয়া।’
ধৈর্য্য মানিল না মনে; ভাবিলাম যদি
পাপিষ্ঠা সপত্নী আসি প্রাণেশে আমার
ল’য়ে যায় এ কৌশলে। বলিলাম—‘নাথ!
বহুদিন-সাধ মম করিতে দর্শন
অর্ণব-আহব, প্রভু পূরাও সে সাধ,
তুমি যদি না পূরাবে কি পূরাবে আর
বীরেন্দ্র!’ হাসিয়া নাথ বলিলা আমারে,—
‘সাজ তবে, বীরেন্দ্রাণি! বালকের রণে
মহারথী ক্লিওপেট্রা, সারথি এণ্টনি!’
আপনি প্রাণেশ, রণবেশে সাজাইলা
আমায়, সজনি সুখে! সাজাইতে, হায়!
কত যে কি সুখ নাথ দেখিলা নয়নে,
চুম্বিলা অধরে, সখি! পরশিলা করে,
বলিব কেমনে? অঙ্কে অঙ্কে বিরাজিয়া
স্ফুট নলিনীর, অলির যে সুখ, পদ্ম
বুঝিবে কেমনে? আমি আপনি স্বজনি!
বীরবেশে প্রেমাবেশে হইনু বিভোর।