পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৪০)

ফুরাইলে বেশ; নাথ হাসিয়া আদরে,
সমর্পিয়া করে চারু কুসুমের হার,
বলিলা—‘কি কাজ প্রিয়ে! অস্ত্রেতে তোমার?
বিনা রণে, এই অস্ত্রে, জিনিবে সংসার’।
 “অসংখ্য অর্ণবযান, সৈন্য, অস্ত্র, ভরে
প্রায় নিমজ্জিত কায়; বিশাল ধবল
পক্ষে বন্দী করি দেব প্রভঞ্জনে দর্পে;
বিক্রমে ফেণিয়া সিন্ধু; চলিল সাঁতারি
যেন প্রমত্ত বারণ। চলিলাম আমি
নির্ভয়ে, কেশরী যেই হরিণীরে সখি!
দিয়াছে অভয়, তবে কি ভয় জগতে?
বীর-প্রণয়িনী আমি, বীরের সঙ্গিনী,
ডরিব কাহারে? কিন্তু অবলা-মনের
না জানি কি গতি! যত আশ্বাসিয়া মন
করি ভাসমান, তত ভাবী আশঙ্কায়
হইতেছে ভারি! ততকাল রঙ্গে মম
চকিত কল্পনা, হায়! অজ্ঞাতে কেমনে,
চিত্রিতেছে ভবিষ্যত! যদিও না জানি,—
পরচিত্ত-অন্ধকার!—বুঝিনু তথাপি
ভাবী অমঙ্গল ছায়া পড়েছে হৃদয়ে