পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৪১)

এণ্টনির। লুকাইতে সে করাল ছায়া
রমণীর কাছে নাথ, হয়েছে মগন
সঙ্গীতে সুরায়।
“দ্রুত ভাঙ্গিল স্বপন।
ভয়ঙ্কর!! একি দেখি সম্মুখে আমার!
অসীম বারিদ-পুঞ্জ, ভীম-কলেবর,
পড়েছে খসিয়া ওকি জলধি-হৃদয়ে?
খেলিছে বিদ্যুত ওকি জীমূত-ঘর্ষণে?
ওকি শব্দ ভয়ঙ্কর? জীমূত গর্জ্জন?
সকলই ভ্রম! সখি, শুকাইল মুখ;
বিপক্ষ তরণী-ব্যূহ সজ্জিত সমরে!
বিদ্যুত,—কামান-অগ্নি; দুর্জ্জয় কামান
মুহুর্মুহুঃ মেঘ মন্ত্রে গর্জ্জিছে ভীষণ!
যেই দৃশ্য—নেত্রে, কর্ণে, চিত্তে ভয়ঙ্কর!—
দেখিলাম চারমিয়ন্, বলিব কেমনে
কামিনী-কোমল-কণ্ঠে? শুনিবে তোমরা
নারী-কোমল-হৃদয়ে? দেখে থাক যদি
প্রতিকূল প্রভঞ্জনে প্রাবৃট-অম্ভোদ
আঘাতিতে পরস্পরে, বিলোড়ি গগন,
ছিন্ন নক্ষত্র-মণ্ডল, বুঝিবে কেমনে