পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
একটি-কথা।

 সংসার যাহাকে পাপ বলে, ক্লিওপেট্রার জীবন সেই পাপে পরিপূর্ণ। অতএব ক্লিওপেট্রাকে সাহিত্য-সমাজে উপস্থিত করিলাম বলিয়া আমি বঙ্গদেশীয় সম্প্রদায় বিশেষের কাছে হয় ত তীব্র কটাক্ষ ভাজন হইব। তবে জানিয়া শুনিয়া এরূপ কবিতা কেন লিখিলাম? বলিতেছি।

 স্বভাবের বিচিত্রতা-পরিপূর্ণ মাতৃ-ভূমিতে অবস্থান কালে এক দিন অপরাহ্নে একটি সমুদ্র-সৈকতে বসিয়া ক্লিওপেট্রা জীবনের একখানি ক্ষুদ্র আখ্যায়িকা পড়িতেছিলাম। পাঠ সমাপন করিয়া মস্তক তুলিয়া সন্ধ্যালোকে একটা চমৎকার দৃশ্য দেখিলাম। সম্মুখে তরঙ্গায়িত অনন্ত সমুদ্র; দূরে সলিলাকাশের সন্মিলন-রেখায় মধ্যস্থলে সূর্য্যদেব সলিল-শয্যায় শোভা পাইতেছেন। সেই “জবা কুসুম সংকাশ” মূর্ত্তি বেষ্টিয়া নীলোজ্বল উর্ম্মিমালা নৃত্য করিতেছে। তিনি সেই নৃত্য দেখিতে দেখিতে আনন্দে জলধি-হৃদয়ে বিলীন হইলেন। তখন পট পরিবর্ত্তন হইয়া যেন আর একটী মনোহর দৃশ্য প্রদর্শিত হইল। সান্ধ্য নীলিমায় জলধিব-ক্ষ আচ্ছন্ন হইল; সেই নীলিমা অঙ্গে মাখিয়া তরঙ্গমালা নাচিতে লাগিল। দেখিলাম একটী ক্ষুদ্র তৃণ সেই অসীম সমুদ্র-গর্ভে,—সেই অসংখ্য তরঙ্গাঘাতে, সেই অপ্রতিহত স্রোত প্রভাবে, ভাসিয়া